وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلًۭا مِّن قَبْلِكَ وَجَعَلْنَا لَهُمْ أَزْوَٰجًۭا وَذُرِّيَّةًۭ ۚ وَمَا كَانَ لِرَسُولٍ أَن يَأْتِىَ بِـَٔايَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ ٱللَّهِ ۗ لِكُلِّ أَجَلٍۢ كِتَابٌۭ
তোমার আগেও আমি অনেক রসূল পাঠিয়েছি এবং তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান সন্ততি দিয়েছি। ৫৬ আর আল্লাহর অনুমতি ছাড়া নিজেই কোন নিদর্শন এনে দেখাবার শক্তি কোন রসূলেরও ছিল না। ৫৭ প্রত্যেক যুগের জন্য একটি কিতাব রয়েছে।
৫৬
নবী (সা.) এর বিরুদ্ধে যেসব আপত্তি উত্থাপন করা হতো এটি তার মধ্য থেকে আর একটি আপত্তির জবাব। তারা বলতো, এ আবার কেমন নবী, যার স্ত্রী-সন্তানাদিও আছে! নবী-রসূলদের যৌন কামনার সাথে কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না কি?
৫৭
এটিও একটি আপত্তির জবাব। বিরোধীরা বলতো, মূসা ‘সূর্য’ করোজ্জ্বল হাত’ ও লাঠি এনেছিলেন ঈসা মসীহ অন্ধদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতেন এবং কুষ্ঠরোগীদেরকে রোগমুক্ত করতে পারতেন। সালেহ উটনীর নিদর্শন দেখিয়েছিলেন। তুমি কি নিদর্শন নিয়ে এসেছো? এর জবাবে বলা হয়েছে, যে নবী যে জিনিসই দেখিয়েছেন নিজের ক্ষমতা বা শক্তির জোরে দেখাননি। আল্লাহ যে সময় যার মাধ্যমে যে জিনিস প্রকাশ করা সঙ্গত মনে করেছেন তা প্রকাশিত হয়েছে। এখন যদি আল্লাহ প্রয়োজন মনে করেন তাহলে যা তিনি চাইবেন দেখাবেন। নবী নিজে কখনো এমন খোদায়ী ক্ষমতার দাবী করেননি যার ভিত্তিতে তোমরা তাঁর কাছে নিদর্শন দেখাবার দাবী করতে পারো।