وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَىٰ بِـَٔايَـٰتِنَآ أَنْ أَخْرِجْ قَوْمَكَ مِنَ ٱلظُّلُمَـٰتِ إِلَى ٱلنُّورِ وَذَكِّرْهُم بِأَيَّىٰمِ ٱللَّهِ ۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَـَٔايَـٰتٍۢ لِّكُلِّ صَبَّارٍۢ شَكُورٍۢ
আমি এর আগে মূসাকেও নিজের নিদর্শনাবলী সহকারে পাঠিয়ে ছিলাম। তাকেও আমি হুকুম দিয়েছিলাম, নিজের সম্প্রদায়কে অন্ধকার থেকে বের করে আলোকের মধ্যে নিয়ে এসো এবং তাদেরকে ইতিহাসের ৮ শিক্ষণীয় ঘটনাবলী শুনিয়ে উপদেশ দাও। এ ঘটনাবলীর মধ্যে বিরাট নিদর্শন ৯ রয়েছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যে সবর করে ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ১০
৮
আরবী ভাষায় পারিভাষিক অর্থে ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর স্মারককে “আইয়াম” বলা হয়। “আইয়ামূল্লাহ” বলতে মানুষের ইতিহাসের এমন সব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বুঝায় যেখানে আল্লাহ অতীতের জাতিসমূহ ও বড় বড় ব্যক্তিত্বকে তাদের কর্মকাণ্ড অনুযায়ী শাস্তি বা পুরস্কার দিয়েছেন।
৯
অর্থাৎ এসব ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্যে এমন সব নিদর্শন রয়েছে যার মাধ্যমে এক ব্যক্তি আল্লাহর একত্বের সত্যতা ও নির্ভুলতার প্রমাণ পেতে পারে। এ সঙ্গে এ সত্যের পক্ষেও অসংখ্য সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারে যে, প্রতিদানের বিধান একটি বিশ্বজনীন আইন, তা পুরোপুরি হক ও বাতিলের তাত্ত্বিক ও নৈতিক পার্থক্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত এবং তার দাবী পূরণ করার জন্য অন্য একটি জগত অর্থাৎ পরকালীন জগত অপরিহার্য। তাছাড়া এ ঘটনাবলীর মধ্যে এমনসব নিদর্শনও রয়েছে যার সাহায্যে কোন ব্যক্তি বাতিল বিশ্বাস ও মতবাদের ভিত্তিতে জীবনের ইমারত তৈরী করার অশুভ পরিণামের সন্ধান লাভ করতে এবং তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
১০
অর্থাৎ এ নিদর্শনসমূহ তো যথাস্থানে আছে। কিন্তু একমাত্র তারাই এ থেকে লাভবান হতে পারে যারা আল্লাহর পরীক্ষায় ধৈর্য ও অবিচলতার সাথে এগিয়ে চলে এবং আল্লাহর নিয়ামতসমূহকে যথাযথভাবে অনুভব করে তাদের জন্য যথার্থ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। নীচমনা, সংকীর্ণচেতা ও কৃতঘ্ন স্বভাবের লোকেরা যদি এ নিদর্শনগুলো উপলব্ধি করেও তাহলে তাদের এ নৈতিক দুর্বলতা তাদেরকে সেই উপলব্ধি দ্বারা লাভবান হতে দেয় না।