وَعَلَى الَّذِينَ هَادُوا حَرَّمْنَا كُلَّ ذِي ظُفُرٍ الايه
---এর দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এ আয়াতে ইহুদীদের নাফরমানির কারণে বিশেষ করে কোন্ কোন্ জিনিস তাদের জন্য হারাম করা হয়েছিল তা বলা হয়েছে।
এখানে একটি প্রশ্ন দেখা দেয়। সূরা নাহলের এ আয়াতে সূরা আন’আমের একটি আয়াতের বরাত দেয়া হয়েছে। এ থেকে জানা যায়, সুরা আন’আম এ সূরার আগে নাযিল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সূরা আন’আমে এক জায়গায় বলা হয়েছে।
وَمَا لَكُمْ أَلَّا تَأْكُلُوا مِمَّا ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَقَدْ فَصَّلَ لَكُمْ مَا حَرَّمَ عَلَيْكُمْ (ايت : 119)
এখানে সূরা নাহলের দিকে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। কারণ মক্কী সূরাগুলোর মধ্যে আন’আম ছাড়া এই একটি মাত্র সূরাতেই হারাম জিনিসগুলোর বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন দেখা দেয়, এর মধ্যে কোন্ সূরাটি আগে নাযিল হয়েছিল এবং কোনটি পরে? আমাদের মতে এর সঠিক জবাব হচ্ছে এই যে, প্রথমে নাযিল হয়েছিল সূরা নাহ্ল। সূরা আন’আমের উপরোল্লিখিত আয়াতে এরই বরাত দেয়া হয়েছে। পরে কোন এক সময় মক্কার কাফেররা সূরা নাহলের এ আয়াতগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের ইতিপূর্বে বর্ণিত আপত্তিগুলো উত্থাপন করে। সে সময় সূরা আন’আম নাযিল হয়ে গিয়েছিল। তাই তাদেরকে জবাব দেয়া হয়েছে, আমরা পূর্বেই অর্থাৎ সূরা আন’আমে বলে এসেছি যে, ইহুদীদের জন্য কয়েকটি জিনিস বিশেষভাবে হারাম করা হয়েছিল। আর যেহেতু এ আপত্তি সূরা নাহলের বিরুদ্ধে করা হয়েছিল তাই এর জবাবও সূরা নাহলেই প্রাসঙ্গিক বাক্য হিসেবে সংযোজিত হয়েছে।