إِن تُبْدُوا۟ ٱلصَّدَقَـٰتِ فَنِعِمَّا هِىَ ۖ وَإِن تُخْفُوهَا وَتُؤْتُوهَا ٱلْفُقَرَآءَ فَهُوَ خَيْرٌۭ لَّكُمْ ۚ وَيُكَفِّرُ عَنكُم مِّن سَيِّـَٔاتِكُمْ ۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌۭ
যদি তোমাদের দান-সাদ্কাগুলো প্রকাশ্যে করো, তাহলে তাও ভালো, তবে যদি গোপনে অভাবীদের দাও, তাহলে তোমাদের জন্য এটিই বেশী ভালো। ৩১১ এভাবে তোমাদের অনেক গোনাহ নির্মূল হয়ে যায়। ৩১২ আর তোমরা যা কিছু করে থাকো আল্লাহ অবশ্যি তা জানেন।
৩১১
যে দান-খয়রাতটি করা ফরয সেটি প্রকাশ্যে করাই উত্তম। অন্যদিকে ফরয নয় এমন দান-খয়রাত গোপনে করাই ভালো। সমস্ত কাজের ক্ষেত্রেও এই নীতি প্রযোজ্য। ফরযগুলো প্রকাশ্যে এবং নফলগুলো গোপনে করাই উত্তম হিসেবে বিবেচিত।
৩১২
অর্থাৎ লুকিয়ে সৎকাজ করলে মানুষের আত্মা ও নৈতিক বৃত্তির অনবরত সংশোধন হয়ে থাকে। তার সৎগুণাবলী বিকাশ লাভ করতে থাকে। তার দোষ, ত্রুটি ও অসৎবৃত্তিগুলো ধীরে ধীরে নির্মূল হতে থাকে। এই জিনিসটি তাকে আল্লাহর এমন প্রিয়ভাজন করে তোলে, যার ফলে তার আমলনামায় যে সামান্য কিছু গোনাহ লেখা থাকে, তার এই সৎগুণাবলীর প্রতি দৃষ্টিপাত করে মহান আল্লাহ সেগুলো মাফ করে দেন।