إِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَـٰٓئِكَةِ إِنِّى خَـٰلِقٌۢ بَشَرًۭا مِّن طِينٍۢ
যখন তোমার রব ফেরশ্তাদেরকে বললো, ৫৯ “আমি মাটি দিয়ে একটি মানুষ তৈরি করবো। ৬০
৫৯
ওপরের আয়াতে যে বিরোধের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে এ হচ্ছে তার বিস্তারিত বিবরণ। এ বিরোধ বলতে আল্লাহর সাথে শয়তানের বিরোধ বুঝানো হয়েছে যেমন সামনের আলোচনা থেকে প্রকাশ হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে একথা মনে রাখতে হবে যে, “ঊর্ধ্বজগত” বলতে ফেরেশতাদেরকে বুঝানো হয়েছে। কাজেই কারো এ ভুল ধারণা হওয়া উচিত নয় যে, আল্লাহও ঊর্ধ্বজগতের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এখানে যে কাহিনী বর্ণনা করা হচ্ছে, তা ইতিপূর্বে নিম্নোক্ত স্থানসমূহে বর্ণনা করা হয়েছেঃ তাফহীমুল কুরআন, আল বাকারাহ, ৩৫-৫৩; আ’রাফ, ১০-১৫; আল হিজর, ১৭ ১৯ ; বনী ইসরাঈল ৭১-৮২ ; আল কাহফ, ৪৬-৪৮ ; এবং ত্বা-হা, ৯২-১০৬ টীকাসমূহ।
৬০
মূল শব্দ হচ্ছে بَشَر (বাশারা)। এর আভিধানিক অর্থ “স্থূলদেহ”, যার বাইরের অংশ কোন জিনিসে আবৃত নয়। মানুষ সৃষ্টির পর এ শব্দটি বরাবর মানুষের জন্যই ব্যবহৃত হতে থেকেছে। কিন্তু মানুষ সৃষ্টির আগে তার জন্য ‘বাশার’ শব্দ ব্যবহার করা এবং তাকে মাটি দিয়ে তৈরি করার পরিষ্কার অর্থ হচ্ছে এই যে, “আমি মাটির একটি পুতুল বানাতে চাই। তার ডানা ও পালক থাকবে না। অর্থাৎ তার ত্বক অন্যান্য প্রাণীর মতো উল, পশম, লোম ও পালকে ঢাকা থাকবে না।”