وَنُفِخَ فِى ٱلصُّورِ فَصَعِقَ مَن فِى ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَمَن فِى ٱلْأَرْضِ إِلَّا مَن شَآءَ ٱللَّهُ ۖ ثُمَّ نُفِخَ فِيهِ أُخْرَىٰ فَإِذَا هُمْ قِيَامٌۭ يَنظُرُونَ
সেদিন শিংগায় ফুৎকার দেয়া ৭৮ হবে। আর তৎক্ষণাত আসমান ও যমীনে যারা আছে তারা সব মরে পড়ে যাবে। তবে আল্লাহ যাদের জীবিত রাখতে চান তারা ছাড়া। অতঃপর আরেকবার শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে তখন হঠাৎ সবাই জীবিত হয়ে দেখতে থাকবে ৭৯
৭৮
শিংগার ব্যাখ্যার জন্য দেখুন, তাফহীমুল কুরআন, আল আন’আম, টীকা ৪৭ ; ইবরাহীম, টীকা ৫৭ ; আল কাহফ, টিকা ৭৩ ; ত্বা-হা টীকা ৭৮; আল হাজ্জ, টীকা ১ ; আল মু’মিনূন, টীকা ৯৪ ; আন নামল, টীকা ১০৬।
৭৯
এখানে শুধু দুইবার শিংগায় ফুৎকারের উল্লেখ আছে। এছাড়া সূরা আন নামলে এ দু’টি ফুৎকারের অতিরিক্ত আরো একবার শিংগায় ফুৎকারের উল্লেখও আছে যা শুনে আসমান ও যমীনের সমস্ত সৃষ্টি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে যাবে (আয়াত ৮৭)। এ কারণে হাদীসসমূহে তিনবার শিংগায় ফুৎকারের ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। এক, “নাফখাতুল ফাযা” অর্থাৎ ভীত সন্ত্রস্তকারী শিংগা। দুই, “নাফখাতুস সা’ক অর্থাৎ মৃত্যু ঘটানোর শিংগা। তিন, “নাফখাতুল কিয়াম লি রাব্বিল আলামীন” অর্থাৎ যে শিংগায় ফুৎকার দেয়ার সাথে সমস্ত মানুষ জীবিত হয়ে উঠবে এবং নিজের রবের সামনে হাজির হওয়ার জন্য নিজ নিজ কবর থেকে বেরিয়ে আসবে।