وَإِن مِّنْ أَهْلِ ٱلْكِتَـٰبِ إِلَّا لَيُؤْمِنَنَّ بِهِۦ قَبْلَ مَوْتِهِۦ ۖ وَيَوْمَ ٱلْقِيَـٰمَةِ يَكُونُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًۭا
আর আহলি কিতাবদের মধ্য থেকে এমন একজনও হবে না। যে তার মৃত্যুর পূর্বে তার ঈমান আনবে না, ১৯৬ এবং কিয়ামতের দিন সে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। ১৯৭
১৯৬
এ বাক্যটির দু’টি অর্থ করা হয়েছে। দু’টি অর্থের সমান অবকাশও এখানে রয়েছে। এর একটি অর্থ আমরা আয়াতের তরজমায় বর্ণনা করেছি। আর এর দ্বিতীয় অর্থটি হচ্ছেঃ “আহলে কিতাবের মধ্যে এমন একজনও নেই যে মৃত্যুর পূর্বে ঈসার ওপর ঈমান আনবে না।” আহলে কিতাব অর্থ হচ্ছে ইহুদী। এর অর্থ খৃস্টানও হতে পারে। প্রথম অর্থটির পরিপ্রক্ষিতে বাক্যটির মূল বক্তব্য হবেঃ ঈসার যখন স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটবে সে সময় যত আহলে কিতাব থাকবে তারা সবাই তাঁর ওপর (অর্থাৎ তাঁর রিসালাতের ওপর) ঈমান আনবে। দ্বিতীয় অর্থটির দৃষ্টিতে এর মূল বক্তব্য হবেঃ মৃত্যুর পূর্বে সমস্ত আহলে কিতাবের সামনে ঈসা আলাইহিস সালামের রিসালাতের সত্যত্য সুস্পষ্ট হয়ে যায় এবং তারা ঈসার (আ) ওপর ঈমান আনে। কিন্তু তারা এমন এক সময় এ ঈমান আনে যখন ঈমান ফলপ্রসূ হতে পারে না। এই দু’টি অর্থই বিপুল সংখ্যক সাহাবা, তাবেঈ ও প্রধান মুফাস্সিরদের থেকে বর্ণিত হয়েছে। তবে এর সঠিক অর্থ একমাত্র আল্লাহই জানেন।
১৯৭
অর্থাৎ ইহুদী ও খৃস্টানরা ঈসা আলাইহিস সালামের সাথে এবং তিনি যে বাণী এনেছিলেন তার সাথে যে ব্যবহার করেছে তার ওপর তিনি আল্লাহর দরবারে সাক্ষ্য দেবেন। এই সাক্ষ্যের ওপর কিছু বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে সূরা মায়েদার শেষ রুকূ’তে।