أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ نَصِيبًۭا مِّنَ ٱلْكِتَـٰبِ يُؤْمِنُونَ بِٱلْجِبْتِ وَٱلطَّـٰغُوتِ وَيَقُولُونَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا۟ هَـٰٓؤُلَآءِ أَهْدَىٰ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ سَبِيلًا
তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যাদেরকে কিতাবের জ্ঞান থেকে কিছু অংশ দেয়া হয়েছে এবং তাদের অবস্থা হচ্ছে এই যে, তারা জিব্ত ৮১ ও তাগুতকে ৮২ মানে আর কাফেরদের সম্পর্কে বলে, ঈমানদারদের তুলনায় এরাই তো অধিকতর নির্ভুল পথে চলেছে? ৮৩
৮১
‘জিব্ত’ মানে অসত্য, অমূলক, ভিত্তিহীন ও অকল্যাণকর জিনিস। ইসলামের পরিভাষায় যাদু, টোনা, টোটকা, ভাগ্য গণনা, জ্যোতিষ, তন্ত্রমন্ত্র ইত্যাকার কুসংস্কার ও অন্যান্য যাবতীয় কাল্পনিক বানোয়াট কথা ও ক্রিয়াকর্মকে জিব্ত বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছেঃ
النياقه والطرق والطير من الجبت
অর্থাৎ “পশুর ধ্বনি থেকে আন্দাজে ভালো-মন্দ অর্থ গ্রহণ করা, মাটির ওপর পশুর পদচিহ্ন থেকে সৌভাগ্য দুর্ভাগ্য মূলক ভালো-মন্দ ধারণা নেয়া এবং এই ধরনের কাল্পনিক আন্দাজ অনুমানভিত্তিক সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য চিহ্নিত করার বিভিন্ন পদ্ধতি জিব্ত এর অন্তর্ভুক্ত।” কাজেই আমাদের ভাষায় আমরা যাকে কুসংস্কার বলি এবং ইংরেজীতে যাকে বলা হয় Superstition সেটিই আসলে জিব্ত।
৮২
এর ব্যাখ্যার জন্য সূরা বাকারার ২৮৬ ও ২৮৮ টীকা দু’টি দেখুন।
৮৩
ইহুদী আলেমদের হঠধর্মিতা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে তারা আবরের মুশরিকদের চাইতেও বেশী গোমরাহ মনে করতো। তারা বলতো, এদের চাইতে এই মুশরিকরাই তো বেশী সত্য পথের অনুসারী। অথচ তারা স্পষ্ট দেখছিল, একদিকে রয়েছে নির্ভেজাল তাওহীদ, যার মধ্যে শিরকের সামান্য গন্ধও নেই আর অন্যদিকে নির্ভেজাল মূর্তিজাল, যার নিন্দায় ও প্রতিবাদে সমগ্র বাইবেল উচ্চ কণ্ঠ।