وَلَوْ أَنَّا كَتَبْنَا عَلَيْهِمْ أَنِ ٱقْتُلُوٓا۟ أَنفُسَكُمْ أَوِ ٱخْرُجُوا۟ مِن دِيَـٰرِكُم مَّا فَعَلُوهُ إِلَّا قَلِيلٌۭ مِّنْهُمْ ۖ وَلَوْ أَنَّهُمْ فَعَلُوا۟ مَا يُوعَظُونَ بِهِۦ لَكَانَ خَيْرًۭا لَّهُمْ وَأَشَدَّ تَثْبِيتًۭا
যদি আমি হুকুম দিতাম, তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো অথবা নিজেদের ঘর থেকে বের হয়ে যাও, তাহলে তাদের খুব কম লোকই এটাকে কার্যকর করতো। ৯৬ অথচ তাদেরকে যে নসীহত করা হয় তাকে যদি তারা কার্যকর করতো তাহলে এটি হতো তাদের জন্য অধিকতর ভালো ও অধিকতর দৃঢ়তা ও অবিচলতার প্রমাণ। ৯৭
৯৬
অর্থাৎ যখন তারা শরীয়াত মেনে চলতে গিয়ে সামান্যতম ক্ষতি বা কষ্ট বরদাশত করতে পারে না তখন তাদের কাছ থেকে কোন বড় রকমের ত্যাগ ও কুরবানীর আশা কোনক্রমেই করা যেতে পারে না। তাদের কাছে যদি প্রাণদান বা ঘর বাড়ি পরিত্যাগ করার দাবী করা হয় তাহলে তারা সঙ্গে সঙ্গেই সটকে পড়বে এবং ঈমান ও আনুগত্যের পরিবর্তে কুফরী ও নাফরমানির পথ অবলম্বন করবে।
৯৭
অর্থাৎ যদি এরা সন্দেহ সংশয় ও দ্বিধার পথ পরিহার করে নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সাথে রসূলের আনুগত্যের পথে এগিয়ে চলতো এবং কোন অবস্থায় দোদুল্যমান না হতো, তাহলে এদের জীবন অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা মুক্ত হতো। এদের চিন্তা-ভাবনা, নীতি নৈতিকতা, লেনদেন সবকিছুই একটি স্থায়ী ও সুদৃঢ় বুনিয়াদের ওপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারতো। একটি সত্য সরল রাজপথে দৃঢ়তা ও অবিচলতার সাথে এগিয়ে চলার ফলে যে সাফল্য ও সমৃদ্ধি অর্জিত হয় তা তারা অর্জন করতে সক্ষম হতো। যে ব্যক্তি দ্বিধা ও দোদুল্যমান অবস্থার শিকার হয়, কখনো এ পথে কখনো ওপথে চলে এবং কোন একটি পথের নির্ভুলতা সম্পর্কে তার মনে আস্থারভাব জাগে না, তার সারাটা জীবন কাটে কচু পাতায় রাখা পানির মতো অবস্থায় এবং তার সারা জীবনের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।