أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ ٱلْقُرْءَانَ ۚ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِندِ غَيْرِ ٱللَّهِ لَوَجَدُوا۟ فِيهِ ٱخْتِلَـٰفًۭا كَثِيرًۭا
তারা কি কুরআন সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না? যদি এটি আল্লাহ ছাড়া আর কারো পক্ষ থেকে হতো, তাহলে তারা এর মধ্যে বহু বর্ণনাগত অসঙ্গতি খুঁজে পেতো। ১১১
১১১
মুনাফিক ও দুর্বল ঈমানদার লোকদের যে আচরণ সম্পর্কে ওপরের আয়াতগুলোতে সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে তার প্রধান ও আসল কারণ ছিল এই যে, কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত হবার ব্যাপারে তাদের মনে সন্দেহ ছিল। তারা একথা বিশ্বাস করতে পারছিল না যে, সত্যি সত্যিই রসূলের ওপর অহী নাযিল হয় এবং এই যে হিদায়াতগুলো আসছে, এগুলো সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকে আসছে। তাই তাদের মুনাফেকী আচরণের নিন্দা করার পর এখন বলা হচ্ছে, তারা কুরআন সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনাই করে না। কেননা এই গ্রন্থ নিজেই সাক্ষী দিচ্ছে যে, এটি আল্লাহ ছাড়া আর কারও বাণী হতেই পারে না। কোন মানুষের ক্ষমতা নেই বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বিষয়ে ভাষণ দিতে থাকবে এবং প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তার সমস্ত ভাষণ একটি সুসামঞ্জস্য, ভারসাম্যপূর্ণ ও এক বর্ণের মোতির মালায় পরিণত হবে। এর কোন অংশ অন্য অংশের সাথে সংঘর্ষশীল হবে না। এর মধ্যে মত পরিবর্তনের কোথাও কোন নাম নিশানাও পাওয়া যাবে না। ভাষণদাতার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানসিক অবস্থার কোন প্রতিফলনও সেখানে দেখা যাবে না। এই ভাষণের বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাপারে পুনর্বিবেচনা করার কোন প্রশ্নই কখনো উত্থাপিত হবে না। এই ধরনের ভাষণ দেয়া কোন মানুষের জন্য কোন কালেই সম্ভবপর নয়।