فَكَيْفَ إِذَا تَوَفَّتْهُمُ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَـٰرَهُمْ
সে সময় কী অবস্থা হবে যখন ফেরেশতারা তাদের রূহ কবজ করবে এবং তাদের মুখ ও ফিটের ওপর আঘাত করতে করতে নিয়ে যাবে। ৩৭ এসব হওয়ার কারণ হচ্ছে,
৩৭
অর্থাৎ পৃথিবীতে তারা এ কর্মপন্থা অবলম্বন করেছে এজন্য যাতে নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে পারে এবং কুফর ও ইসলামের যুদ্ধের বিপদ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে। কিন্তু মৃত্যুর পরে আল্লাহর পাকড়াও থেকে কোথায় গিয়ে রক্ষা পাবে? সে সময় তাদের কোন কৌশলই তাদেরকে ফেরেশতাদের মারের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে না।
যেসব আয়াত দ্বারা স্পষ্টভাবে ‘বরযখ’ অর্থাৎ কবরের আযাব প্রমাণিত হয় এটি তার একটি। এ আয়াত থেকে পরিষ্কার জানা যায় যে, মৃত্যুর সময় থেকেই কাফের ও মুনাফিকদের আযাব শুরু হয়ে যায়। কিয়ামতে তাদের মোকাদ্দমার ফয়সালা হওয়ার পর যে শাস্তি দেয়া হবে এ আযাব তা থেকে ভিন্ন জিনিস। আরো ব্যাখ্যার জন্য দেখুন আন নিসা, ৯৭ আয়াত; আল আনআম, ৯৩-৯৪; আল আনফাল, ৫০; আন নাহল, ২৮-৩২; আল মু’মিনূন। ৯৯-১০০; ইয়াসীন, ২৬-২৭ এবং টীকা ২২-২৩ এবং আল মু’মিন, ৪৬, টীকা ৬২ সহ।