হযরত জারীর ইবনে আবদুল্লাহ বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ আমার থেকে তিনটি বিষয়ে “বাইয়াত” নিয়েছেন। এক, নামায কায়েম করবো। দুই, যাকাত আদায় করতে থাকবো। তিন, মুসলমানদের কল্যাণ কামনা করবো। (বুখারী-কিতাবুল ঈমান)।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী এবং তার সাথে লড়াই করা কুফরী। (বুখারী--কিতাবুল ঈমান)। মুসনাদে আহমাদে হযরত সাঈদ ইবনে মালেক ও তার পিতা থেকে অনুরূপ বিষয়বস্তু সম্বলিত হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপর মুসলমানের জান, মাল ও ইজ্জত হারাম” (মুসলিম--কিতাবুল বিরর ওয়াসসিলাহ, তিরমিযী--আবুওয়াবুল বিরর ওয়াসসিলাহ)। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) ও হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেনঃ এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে তার ওপরে জুলুম করে না, তাকে সহযোগিতা করা পরিত্যাগ করে না এবং তাকে লাঞ্ছিত ও হেয় করে না। কোন ব্যক্তির জন্য তার কোন মুসলমান ভাইকে হেয় ও ক্ষুদ্র জ্ঞান করার মত অপকর্ম আর নাই। (মুসনাদে আহমাদ)
হযরত সাহল ইবনে সা’দ সায়েদী নবীর ﷺ এ হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, ঈমানদারদের সাথে একজন ঈমানদারের সম্পর্ক ঠিক তেমন যেমন দেহের সাথে মাথার সম্পর্ক। সে ঈমানদারদের প্রতিটি দুঃখ-কষ্ট, ঠিক অনুভব করে যেমন মাথা দেহের প্রতিটি অংশের ব্যথা অনুভব করে। (মুসনাদে আহমাদ) অপর একটি হাদীসে এ বিষয়বস্তুর প্রায় অনুরূপ বিষয়বস্তু বর্ণিত হয়েছে। উক্ত হাদীসে নবী (সা.) বলেছেনঃ পারস্পরিক ভালবাসা, সুসম্পর্ক এবং একে অপরের দয়ামায়া ও স্নেহের ব্যাপারে মু’মিনগণ একটি দেহের মত। দেহের যে অংগেই কষ্ট হোক না কেন তাতে গোটা দেহ জ্বর ও অনিদ্রায় ভুগতে থাকে। (বুখারীও মুসলিম)
আরো একটি হাদীসে নবীর ﷺ এ বাণীটি উদ্ধৃত হয়েছে যে, মু’মিনগণ পরস্পরের জন্য একই প্রাচীরের ইটের মত একে অপরের থেকে শক্তিলাভ করে থাকে। (বুখারী--কিতাবুল আদব, তিরমিযী--কিতাবুল বিরর--ওয়াস সিলাহ)