إِنْ هِىَ إِلَّآ أَسْمَآءٌۭ سَمَّيْتُمُوهَآ أَنتُمْ وَءَابَآؤُكُم مَّآ أَنزَلَ ٱللَّهُ بِهَا مِن سُلْطَـٰنٍ ۚ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا ٱلظَّنَّ وَمَا تَهْوَى ٱلْأَنفُسُ ۖ وَلَقَدْ جَآءَهُم مِّن رَّبِّهِمُ ٱلْهُدَىٰٓ
প্রকৃতপক্ষে এসব তোমাদের বাপ-দাদাদের রাখা নাম ছাড়া আর কিছুই না। এজন্য আল্লাহ কোন সনদপত্র নাযিল করেননি। ১৭ প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে, মানুষ শুধু ধারণা ও প্রবৃত্তির বাসনার দাস হয়ে আছে। ১৮ অথচ তাদের রবের পক্ষ থেকে তাদের কাছে হিদায়াত এসেছে। ১৯
১৭
অর্থাৎ তোমরা যাদের দেবী ও দেবতা বলে থাকো তারা দেবীও নয় দেবতাও নয়। তাদের মধ্যে খোদায়ীর কোন বৈশিষ্ট্যও যেমন দেখা যায় না, তেমনি প্রভুত্বের ক্ষমতা ও এখতিয়ারের সামান্যতম অংশও তাদের মধ্যে নেই। তোমরা নিজেরাই তাদেরকে আল্লাহর সন্তান, উপাস্য এবং প্রভুত্বের অংশীদার বানিয়ে নিয়েছো। নিজেদের মনগড়া এসব বিষয়ের সমর্থনে আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা কোন প্রমাণ তোমরা পেশ করতে সক্ষম নও।
১৮
অন্য কথায় তাদের গোমরাহীর মৌলিক কারণ দু’টিঃ এক, তারা কোন জিনিসকে নিজেদের আকীদা-বিশ্বাস ও দ্বীন বানিয়ে নেয়ার জন্য প্রকৃত বস্তুনিষ্ঠ জ্ঞানের কোন প্রয়োজন অনুভব করে না, বরং অনুমান ও ধারণার ওপর ভিত্তি করে একটি জিনিস মেনে নেয় এবং পরে এমনভাবে তা বিশ্বাস করে নেয়, যেন সেটিই সত্য ও বাস্তব। দুই, প্রকৃতপক্ষে তারা নিজেদের নফসের নানা রকম কামনা বাসনা পূরণ করার জন্যই এ নীতি ও আচরণ গ্রহণ করে থাকে। তাদের মন চায় তাদের এমন কোন উপাস্য থাকুক যে দুনিয়ায় তাদের আশা-আকাংখা পুরণ করবে এবং আখেরাত যদি সংঘটিত হয়-ই তাহলে সেখানে তাদেরকে ক্ষমা করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। কিন্তু সে হালাল-হারামের কোন বাধ্যবাধকতা আরোপ করবে না এবং কোন রূপ নৈতিক বিধিবন্ধনেও আবদ্ধ করবে না। একারণেই তারা নবী-রাসূলের আনীত নিয়ম পদ্ধতি অনুসারে এক আল্লাহর দাসত্ব ও আনুগত্যের জন্য প্রস্তুত হতো না এবং নিজেদের গড়া এসব দেব-দেবীর দাসত্ব করাই তাদের মনঃপুত ছিল।
১৯
অর্থাৎ প্রত্যেক যুগেই আল্লাহর পক্ষ থেকে নবী-রসূলগণ এসব পথহারা মানুষকে প্রকৃত সত্য সম্পর্কে অবহিত করেছেন। তারপর এখন মুহাম্মাদ ﷺ এসে সত্যিকার অর্থে বিশ্ব-জাহানের প্রভুত্ব কার, তা জানিয়ে দিয়েছেন।