رَّسُولًۭا يَتْلُوا۟ عَلَيْكُمْ ءَايَـٰتِ ٱللَّهِ مُبَيِّنَـٰتٍۢ لِّيُخْرِجَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ مِنَ ٱلظُّلُمَـٰتِ إِلَى ٱلنُّورِ ۚ وَمَن يُؤْمِنۢ بِٱللَّهِ وَيَعْمَلْ صَـٰلِحًۭا يُدْخِلْهُ جَنَّـٰتٍۢ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَـٰرُ خَـٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًۭا ۖ قَدْ أَحْسَنَ ٱللَّهُ لَهُۥ رِزْقًا
এমন এক রসূল, ২১ যিনি তোমাদেরকে আল্লাহর আয়াত পড়ে শোনান, যা তোমাদের সুস্পষ্ট হিদায়াত দান করে। যাতে তিনি ঈমান গ্রহণকারী ও সৎকর্মশীলদের অন্ধকার থেকে বের করে আলোতে নিয়ে আসেন। ২২ যে ব্যক্তিই আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে এবং নেককাজ করবে আল্লাহ তাকে এমন সব জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার নীচ দিয়ে ঝর্ণা বয়ে চলবে। এসব লোক সেখানে চিরদিন থাকবে। এসব লোকের জন্য আল্লাহ সর্বোত্তম রিযিক রেখেছেন।
২১
মুফাস্সিরদের মধ্যে কেউ কেউ এখানে নসীহত শব্দের অর্থ করেছেন, কুরআন এবং রসূল অর্থ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আবার কেউ কেউ বলেন নসীহত অর্থ খোদ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অর্থাৎ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গোটা ব্যক্তি সত্তাই ছিল নসীহত। আমাদের মতে, এই দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটিই অধিক বিশুদ্ধ ও যথাযথ। কারণ, প্রথম ব্যাখ্যা মেনে নিলে বাক্যাংশের বিন্যাস হবে এভাবেঃ আমি তোমাদের কাছে একটি নসীহত নাযিল করেছি এবং একজন রসূল পাঠিয়েছি। এই পরিবর্তন ছাড়াই কুরআনের বাক্য যখন সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করছে এবং শুধু অর্থ প্রকাশ করছে না বরং অধিক সুস্পষ্টভাবে করছে, তখন কুরআনের ইবারতে এই পরিবর্তনের প্রয়োজন কি?
২২
অর্থাৎ জাহেলিয়াতের অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোতে নিয়ে এসেছেন। মানুষ যখন তালাক, ইদ্দত এবং খোরপোষের ব্যাপারে পৃথিবীর অন্যান্য প্রাচীন ও আধুনিক পারিবারিক আইনসমূহ অধ্যয়ন করে তখন এ কথাটির পুরো গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে। এই তুলনামূলক অধ্যয়ন থেকে জানা যায় যে, বার বার পরিবর্তন ও নিত্য নতুন আইন রচনা সত্ত্বেও কোন জাতি যুক্তিসঙ্গত, স্বভাবসম্মত ও সমাজের জন্য কল্যাণকর এমন কোন আইন রচনা করতে পারেনি যা এই আসমানী কিতাব এবং তার বাহক রসূল ﷺ দেড় হাজার বছর পূর্বে আমাদের দিয়েছিলেন এবং কোনদিনও যা পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন দেখা দেয়নি এবং দেখা দিতে পারেও না ঐ সব আইনের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনার কোন অবকাশ এখানে নেই। আমি আমার “স্বামী স্ত্রীর অধিকার” গ্রন্থের শেষাংশে এর একটা সংক্ষিপ্ত নমুনা মাত্র পেশ করেছি। কোন জ্ঞানী ব্যক্তি ইচ্ছা করলে পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মীয় ও ধর্মহীন আইনের সাথে কুরআন ও সুন্নাহর এই আইনের তুলনামূলক অধ্যয়ন করে নিজেই দেখতে পারেন।