فَٱصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ وَلَا تَكُن كَصَاحِبِ ٱلْحُوتِ إِذْ نَادَىٰ وَهُوَ مَكْظُومٌۭ
অতএব তোমার রবের চূড়ান্ত ফায়সালা পর্যন্ত ধের্য্যসহ অপেক্ষা করো। ৩১ এবং মাছওয়ালার (ইউনুস আলাইহিস সালাম) মতো ৩২ হয়ো না, যখন সে বিষাদ ভারাক্রান্ত ৩৩ হয়ে ডেকেছিলো।
৩১
অর্থাৎ আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক তোমাদের বিজয় ও সাহায্য দেয়া এবং তোমাদের এসব বিরোধীদের পরাজিত করার চূড়ান্ত ফায়সালার সময় এখনও বহু দূরে। চূড়ান্ত ফয়সালার সে সময়টি আমার পূর্ব পর্যন্ত এ দ্বীনের তাবলীগ ও প্রচারের পথে যত দুঃখ-কষ্ট ও মুসিবত আসবে তা ধৈর্যের সাথে বরদাশত করতে থাকো।
৩২
অর্থাৎ ইউনূস আলাইহিস সালামের মত অধৈর্য হয়ে পড়ো না। অধৈর্য হয়ে পড়ার কারণে তাকে মাছের পেটে যেতে হয়েছিলো। আল্লাহর চূড়ান্ত ফয়সালা না আসা পর্যন্ত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দেয়ার পরক্ষণেই “ইউনুস আলাইহিস সাল্লামের মত হয়ো না” বলা থেকে স্বতঃই ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, আল্লাহর চূড়ান্ত ফয়সালা আসার আগেই তিনি অধৈর্য হয়ে কোন কাজ করে ফেলেছিলেন এবং এভাবে আল্লাহর অসন্তুষ্টি লাভ করেছিলেন। (ব্যাখ্যার জন্য দেখুন, তাফমুল কুরআন, সূরা ইউনূস, আয়াত ৯৮, টীকা ৯৯; সূরা আল আম্বিয়া, আয়াত ৮৭-৮৮, টীকা ৮২ থেকে ৮৫; সূরা আস সাফ্ফাত, আয়াত ১৩৯ থেকে ১৪৮, টীকা ৭৮ থেকে ৮৫।
৩৩
সূরা আম্বিয়াতে এ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, মাছের পেটের এবং সাগরের পানির অন্ধকারে হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম উচ্চস্বরে এ বলে প্রার্থনা করলেনঃ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
তোমার পবিত্র সত্তা ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। আসলে আমিই অপরাধী।” আল্লাহ তা’আলা তাঁর ফরিয়াদ গ্রহণ করলেন এবং তাকে এ দুঃখ ও মুসিবত থেকে মুক্তি দান করলেন। (আয়াত ৮৭-৮৮)