আয়াত
৩১ ) অবশেষে তারা বললোঃ “আমাদের এ অবস্থার জন্য আফসোস! আমরা তো বিদ্রোহী হয়ে গিয়েছিলাম।
قَالُوا۟ يَٰوَيْلَنَآ إِنَّا كُنَّا طَٰغِينَ ٣١
৩২ ) বিনিময়ে আমাদের রব হয়তো এর চেয়েও ভাল বাগান আমাদের দান করবেন। আমরা আমাদের রবের দিকে রুজু করছি
عَسَىٰ رَبُّنَآ أَن يُبْدِلَنَا خَيْرًا مِّنْهَآ إِنَّآ إِلَىٰ رَبِّنَا رَٰغِبُونَ ٣٢
৩৩ ) আযাব এরূপই হয়ে থাকে। আখেরাতের আযাব এর চেয়েও বড়। হায়! যদি তারা জানতো।
كَذَٰلِكَ ٱلْعَذَابُ وَلَعَذَابُ ٱلْءَاخِرَةِ أَكْبَرُ لَوْ كَانُوا۟ يَعْلَمُونَ ٣٣
৩৪ ) নিশ্চিতভাবে ১৯ মুত্তাকীদের জন্য তাদের রবের কাছে রয়েছে নিয়ামত ভরা জান্নাত।
إِنَّ لِلْمُتَّقِينَ عِندَ رَبِّهِمْ جَنَّٰتِ ٱلنَّعِيمِ ٣٤
৩৫ ) আমি কি অনুগতদের অবস্থা অপরাধীদের মতো করবো?
أَفَنَجْعَلُ ٱلْمُسْلِمِينَ كَٱلْمُجْرِمِينَ ٣٥
৩৬ ) কি হয়েছে তোমাদের? এ কেমন বিচার তোমরা করছো? ২০
مَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُونَ ٣٦
৩৭ ) তোমাদের কাছে কি কোন কিতাব ২১ আছে যাতে তোমরা পাঠ করে থাকো যে,
أَمْ لَكُمْ كِتَٰبٌ فِيهِ تَدْرُسُونَ ٣٧
৩৮ ) তোমাদের জন্য সেখানে তাই আছে যা তোমরা পছন্দ করো।
إِنَّ لَكُمْ فِيهِ لَمَا تَخَيَّرُونَ ٣٨
৩৯ ) তোমাদের সাথে কি আমার কিয়ামত পর্যন্ত বলবৎ এমন কোন চুক্তি আছে যে, তোমরা নিজের জন্য যা চাইবে সেখানে তাই পাবে?
أَمْ لَكُمْ أَيْمَٰنٌ عَلَيْنَا بَٰلِغَةٌ إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْقِيَٰمَةِ إِنَّ لَكُمْ لَمَا تَحْكُمُونَ ٣٩
৪০ ) তাদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখো এ ব্যাপারে কে দায়িত্বশীল? ২২
سَلْهُمْ أَيُّهُم بِذَٰلِكَ زَعِيمٌ ٤٠
১৯.
মক্কার বড় বড় নেতারা মুসলমানদের বলতো, আমরা দুনিয়াতে যেসব নিয়ামত লাভ করছি তা প্রমাণ করে যে, আমরা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয়। আর তোমরা যে দুর্দশার মধ্যে ডুবে আছো তা প্রমাণ করে যে, তোমরা আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত। তোমাদের বক্তব্য অনুসারে আখেরাত যদি হয়ও তাহলে সেখানেও মজা লুটবো আমরা। আযাব ভোগ করলে তোমরা করবে, আমরা নই। এ আয়াতগুলোতে একথারই জবাব দেয়া হয়েছে।
২০.
অর্থাৎ আল্লাহ তা’আলা অনুগত ও অপরাধীর মধ্যে কোন পার্থক্য করবেন না, এটা বিবেক-বুদ্ধির পরিপন্থী। বিশাল বিশ্ব-জাহানের স্রষ্টা এমন বিচার-বুদ্ধিহীন হবেন, এটা তোমরা ধারণা করলে কিভাবে? তোমরা মনে করে নিয়েছো, এ পৃথিবীতে কারা তাঁর হুকুম-আহকাম ও বিধি-বিধান মেনে চললো এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকলো আর কারা তার তোয়াক্কা না করে সব রকমের গোনাহ, অপরাধ এবং জুলুম-অত্যাচার চালালো তা তিনি দেখবেন না! তোমরা ঈমানদারদের দুর্দশা ও দূরবস্থা এবং নিজেদের স্বাচ্ছন্দ ও সচ্ছলতা দেখতে পেয়েছো ঠিকই কিন্তু নিজেদের এবং তাদের নৈতিক চরিত্র ও কাজ-কর্মের পার্থক্য তোমাদের নজরে পড়েনি। তাই আগাম বলে দিয়েছো যে, আল্লাহর দরবারেও এসব অনুগতদের সাথে অপরাধীদের ন্যায় আচরণ করা হবে। কিন্তু তোমাদের মত পাপীদের দেয়া হবে জান্নাত।
২১ .
অর্থাৎ আল্লাহর পাঠানো কিতাব।
২২.
মূল আয়াতে زَعِيمٌ (যাইম) শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। আরবী ভাষায়
زعيم যাইম বলা হয় এমন ব্যক্তিকে যে কোন বিষয়ের দায়িত্বশীল কিংবা কোন গোষ্ঠী বা দলের মুখপাত্র। কথাটার মানে হলো, তোমাদের মধ্য থেকে কেউ কি এমন দাবী করে যে, সে তোমাদের জন্য আল্লাহর নিকট থেকে এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছে?