أَلَهُمْ أَرْجُلٌۭ يَمْشُونَ بِهَآ ۖ أَمْ لَهُمْ أَيْدٍۢ يَبْطِشُونَ بِهَآ ۖ أَمْ لَهُمْ أَعْيُنٌۭ يُبْصِرُونَ بِهَآ ۖ أَمْ لَهُمْ ءَاذَانٌۭ يَسْمَعُونَ بِهَا ۗ قُلِ ٱدْعُوا۟ شُرَكَآءَكُمْ ثُمَّ كِيدُونِ فَلَا تُنظِرُونِ
তাদের কি হাত আছে, যা দিয়ে তারা ধরতে পারে? তাদের কি চোখ আছে, যার সাহায্যে তারা দেখতে পারে? তাদের কি কান আছে, যা দিয়ে তারা শুনতে পারে? ১৪৮ হে মুহাম্মাদ! এদেরকে বলো, “তোমাদের বানানো শরীকদেরকে ডেকে নাও, তারপর তোমরা সবাই মিলে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করো এবং আমাকে একদম অবকাশ দিয়ো না।
১৪৮
এখানে একটি কথা পরিষ্কারভাবে বুঝে নিতে হবে। শিরক আশ্রিত ধর্মগুলোয় তিনটি জিনিস আলাদা আলাদা পাওয়া যায়, এক, যেসব মূর্তি, ছবি বা নিদর্শনকে পূজা করা হয় এবং যেগুলোকে কেন্দ্র করে সমগ্র পূজা কর্মটি অনুষ্ঠিত হয়। দুই, যেসব ব্যক্তি, আত্মা বা ভাবদেবীকে আসল মাবুদ গণ্য করা হয় এবং মূর্তি, ছবি ইত্যাদির মাধ্যমে যেগুলোর প্রতিনিধিত্ব করা হয়। তিন, এসব মুশরিকী পূজা অনুষ্ঠানাদির গভীরে যেসব আকীদা বিশ্বাস কার্যকর থাকে। কুরআন বিভিন্ন পদ্ধতিতে এ তিনটি জিনিসের ওপর আঘাত হেনেছে। তবে এখানে তার সমালোচনার লক্ষ্য হচ্ছে প্রথম জিনিসটি। অর্থাৎ মুশরিকরা যেসব মূর্তির সামনে পূজার অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করে এবং যাদের সামনে নিজেদের আবেদন-নিবেদন ও নজরানা পেশ করে, তাদেরকেই এখানে সমালোচনার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।