أُحْصِنَااَولَم يَحصَنًا(বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত)। আবার কোথাও এও বলা হয়েছেঃ فَارْجُمُوا الْأَعْلَى وَالْأَسْفَلَ(ওপরের ও নীচের উভয়কে পাথর মেরে হত্যা করো)। কিন্তু যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে এ ধরনের কোন মামলা আসেনি তাই এর শাস্তি কিভাবে দেয়া হবে, তা অকাট্যভাবে চিহ্নিত হতে পারেনি। সাহাবীগণের মধ্যে হযরত আলীর (রা.) মতে অপরাধীকে তরবারীর আঘাতে হত্যা করতে হবে এবং কবরস্থ করার পরিবর্তে তার লাশ পুড়িয়ে ফেলতে হবে। হযরত আবু বকর (রা.) এ মত সমর্থন করেন। হযরত উমর (রা.) ও হযরত উসমানের (রা.) মতে কোন পতনোন্মুখ ইমারতের নীচে তাকে দাঁড় করিয়ে দিয়ে ইমারতটিকে তার ওপর ধ্বসিয়ে দিতে হবে। এ ব্যাপারে ইবনে আব্বাসের (রা.) ফতোয়া হচ্ছে, মহল্লার সবচেয়ে উঁচু বাড়ির ছাদ থেকে তাকে পা উপরের দিকে এবং মাথা নিচের দিকে করে নিক্ষেপ করতে এবং এই সঙ্গে উপর থেকে তার ওপর পাথর নিক্ষেপ করতে হবে। ফকীহদের মধ্যে ইমাম শাফেঈ (র) বলেন, অপরাধী ও যার সাথে অপরাধ করা হয়েছে তারা বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত, তাদের উভয়কে হত্যা করা ওয়াজিব। শা'বী, যুহরী, মালিক ও আহমদ (রাহেমাহুল্লাহ) মতে তাদের শাস্তি হচ্ছে রজম অর্থাৎ পাথর মেরে হত্যা করা। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়েব, আতা, হাসান বসরী, ইবরাহীম নাখঈ, সুফিয়ান সওরী ও আওযাঈর (রাহেমাহুমুল্লাহর) মতে যিনার অপরাধে যে শাস্তি দেয়া হয় এ অপরাধে সেই একই শাস্তি দেয়া হবে। অর্থাৎ অবিবাহিতকে একশত বেত্রাঘাত করে দেশ থেকে বহিস্কার করা হবে এবং বিবাহিতকে রজম করা হবে। ইমাম আবু হানিফার (র) মতে, তার ওপর কোন দণ্ডবিধি নির্ধারিত নেই বরং এ কাজটি এমন যে, সরকার তার বিরুদ্ধে অবস্থা ও প্রয়োজন অনুপাতে যে কোন শিক্ষণীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। এর সমর্থনে ইমাম শাফেঈর একটি বক্তব্যও পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য যে, কোন ব্যক্তির তার নিজের স্ত্রীর সাথেও লূত জাতির কুকর্ম করা চূড়ান্তভাবে হারাম। আবু দাউদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ উক্তি উদ্বৃত হয়েছেঃ مَلْعُونٌ مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِى دُبُرِهَا(যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দেশে যৌন কার্য করে সে অভিশপ্ত)। ইবনে মাজাহ ও মুসনাদে আহমদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ বানী উদ্বৃত হয়েছেঃ لاَ يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَى رَجُلٍ جَامَعَ امْرَأَتَهُ فِى دُبُرِهَا(যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীর পশ্চাদ্দেশে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন না)। ইমাম তিরমিযী তাঁর আর একটি নির্দেশ উদ্ধৃত করেছেন। তাতে বলা হয়েছেঃ
من أَتَى حَائِضًا أَوِ امْرَأَةً فِى دُبُرِهَا أَوْ كَاهِنًا فَصدقه كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ
“যে ব্যক্তি ঋতুবতী অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করে অথবা নিজের স্ত্রীর পশ্চাদ্দেশে যৌন কার্য করে বা কোন গণকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, সে মুহাম্মাদের ﷺ প্রতি অবতীর্ণ বিধান অস্বীকার করে।”