وَإِن نَّكَثُوٓا۟ أَيْمَـٰنَهُم مِّنۢ بَعْدِ عَهْدِهِمْ وَطَعَنُوا۟ فِى دِينِكُمْ فَقَـٰتِلُوٓا۟ أَئِمَّةَ ٱلْكُفْرِ ۙ إِنَّهُمْ لَآ أَيْمَـٰنَ لَهُمْ لَعَلَّهُمْ يَنتَهُونَ
আর যদি অঙ্গীকার করার পর তারা নিজেদের কসম ভঙ্গ করে এবং তোমাদের দ্বীনের ওর হামলা চালাতে থাকে তাহলে কুফরীর পতাকাবাহীদের সাথে যুদ্ধ করো। কারণ তাদের কসম বিশ্বাসযোগ্য নয়। হয়তো (এরপর তরবারীর ভয়েই) তারা নিরস্ত হবে। ১৫
১৫
পূর্বাপর আলোচনা থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে একথা বুঝা যাচ্ছে যে, কসম, অঙ্গীকার ও শপথ বলতে কুফরী ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করার অঙ্গীকারের কথাই এখানে বুঝানো হয়েছে। কারণ এদের সাথে এখন আর কোন চুক্তি করার প্রশ্নই ওঠে না। আগের সমস্ত চুক্তিই তরা ভঙ্গ করেছে। তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণেই আল্লাহ ও তার রসূলের পক্ষ থেকে তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিষ্কার ঘোষণা শুনিয়ে দেয়া হয়েছে। একথাও বলা হয়েছে যে, এ ধরনের লোকদের সাথে কেমন করে চুক্তি করা যেতে পারে? এ সাথে এ নির্দেশও দেয়া হয়েছিল যে, এখন তারা কুফরী ও শিরক ত্যাগ করে নামায কায়েম করবে ও যাকাত আদায় করবে, একমাত্র এ নিশ্চয়তা বিধান করলেই তাদের ছেড়ে দেয়া যেতে পারে। এ কারণে এ আয়াতটি মুরতাদদের সাথে যুদ্ধ করার ব্যাপারে একেবারেই দ্ব্যর্থহীন আদেশ স্বরূপ। আসলে দেড় বছর পরে হযরত আবু বকর সিদ্দীকের (রা.) খিলাফত আমলে ইসলাম বর্জনের যে প্রবণতা দেখা দিয়েছিল এখানে সেদিকেই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। এ আয়াতে ইতিপূর্বে প্রদত্ত নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। অতিরিক্ত ও বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন আমার বই ইসলামী আইনে মুরতাদের শাস্তি।