وَٱلسَّمَآءِ وَمَا بَنَىٰهَا
আকাশের ও সেই সত্তার কসম যিনি তাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ৩
৩
ছাদের মতো পৃথিবীর বুকে তাকে উঠিয়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। এই আয়াতে এবং এর পরের দু’টি আয়াতে ‘মা ’ (مَا
) শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ মা-বাহানা (مَا بَنهَا
) মা-তাহাহা(ما طحا ما ) ও মা-সাওওয়াহা ( ماسواها)। মুফাসসিরগণের একটি দল এই ‘মা’ শব্দটিকে ধাতুগত অর্থে ব্যবহার করেছেন। তারা এই আয়াতগুলো অর্থ এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ আকাশ ও তাকে প্রতিষ্ঠিত করার কসম, পৃথিবী ও তাকে বিছিয়ে দেবার কসম এবং মানুষের নফসের ও তাকে ঠিকভাবে গঠন করার কসম। কিন্তু এ অর্থ ঠিক নয়। কারণ এই তিনটি বাক্যের পরে নিম্নোক্ত বাক্যটি আনা হয়েছেঃ “তারপর তার পাপ ও তার তাকওয়া তার প্রতি ইলহাম করেছেন।” আর এই বাক্যটি আগের বাক্য তিনটির সাথে খাপ খায় না। অন্য মুফাসসিরগণ এখানে ‘ মা ’ ( ما
) কে মান (من ) বা ‘ আললাযী’ (الذين) এর অর্থে ব্যবহার করেছেন। ফলে তারা এই বাক্যগুলোর অর্থ করেছেনঃ যিনি আকাশকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যিনি পৃথিবীকে বিছিয়েছেন এবং যিনি মানুষের নফসকে ঠিকভাবে গঠন করেছেন। আমার মতে এই দ্বিতীয় অর্থটিই সঠিক। এর বিরুদ্ধে এ আপত্তি ওঠানো ঠিক হতে পারে না যে, আরবী ভাষায় ‘মা’ শব্দ প্রাণহীন বস্তু ও বুদ্ধিহীন জীবের জন্য ব্যবহার করা হয়। কারণ খোদ কুরআনেই ‘মা’ কে ‘মান’ অর্থে বহু জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন, ولَآاَنْتُمْ عبدُوْنَ مَااَعْبُدُ (আর না তোমরা তার ইবাদাত করো যার ইবাদাত আমি করি)। فَانْكِحُوْامَاطَابَ لَكُمْ مِّنَ ا لنِّسَاءِ(কাজেই মেয়েদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা পছন্দ করো বিয়ে করে নাও)। وَلاَتَنكحُوْامَانَكَعَ ابَاوأُكُمْ مِّنَ النِّسَاءِ(আর যেসব মেয়েকে তোমাদের বাপেরা বিয়ে করেছে তাদেরকে বিয়ে করো না)।