আরবী------------------
“আল্লাহ তাদেরকে যে হুকুমই দেন না কেন তারা তার নাফরমানী করে না এবং তাদেরকে যা হুকুম দেয়া হয় তাই করে।” (আত্ তাহরীমঃ ৬)
আরবী------------------
“তারা অবাধ্য হয় না, তাদের রবকে, যিনি তাদের ওপর আছেন, ভয় করে এবং তাদেরকে যা হুকুম দেয়া হয় তাই করে।” (আন্ নহ্লঃ ৫০)
অন্য দিকে জিন হচ্ছে মানুষের মতো একটি স্বাধীন ক্ষমতা সম্পন্ন সৃষ্টি। তাদেরকে জন্মগত আনুগত্যশীল হিসেবে সৃষ্টি করা হয়নি। বরং তাদেরকে কুফর ও ঈমান এবং আনুগত্য ও অবাধ্যতা উভয়টি করার ক্ষমতা দান করা হয়েছে। এ সত্যটিই এখানে তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, ইবলীস ছিল জিনদের দলভুক্ত, তাই সে স্বেচ্ছায় নিজের স্বাধীন ক্ষমতা ব্যবহার করে ফাসেকীর পথ বাছাই করে নেয়। এ সুস্পষ্ট বক্তব্যটি লোকদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত এক ধরনের ভুল ধারণা দূর করে দেয়। এ ধারণাটি হচ্ছেঃ ইবলীস ফেরেশতাদের দলভুক্ত ছিল এবং তাও আবার সাধারণ ও মামুলি ফেরেশতা নয়, ফেরেশতাদের সরদার। (আরো বেশী ব্যাখ্যার জন্য দেখুন আল হিজর ২৭ এবং আল জিন ১৩-১৫ আয়াত)
এখন প্রশ্ন থেকে যায়, যদি ইবলীস ফেশেতাদের দলভুক্ত না হয়ে থাকে তাহলে কুরআনের এ বর্ণনা পদ্ধতি কেমন করে সঠিক হতে পারে যে, “আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম, আদমকে সিজাদ করো, তখন তারা সবাই সিজদা করলো কিন্তু ইবলীস করলো না? ” এর জবাব হচ্ছে, ফেরেশতাদেরকে সিজদা করার হুকুম দেবার অর্থ এ ছিল যে, ফেরেশতাদের কর্ম ব্যবস্থাপনায় পৃথিবী পৃষ্ঠে অস্তিত্বশীল সকল সৃষ্টিও মানুষের হুকুমের অনুগত হয়ে যাবে। কাজেই ফেরেশতাদের সাথে সাথে এ সমস্ত সৃষ্টিও সিজদাবনত হলো কিন্তু ইবলীস তাদের সাথে সিজদা করতে অস্বীকার করলো। (ইবলীস শব্দের অর্থ জানার জন্য মু’মিনুনের ৭৩ টীকা দেখুন)।