إِن يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌۭ فَقَدْ مَسَّ ٱلْقَوْمَ قَرْحٌۭ مِّثْلُهُۥ ۚ وَتِلْكَ ٱلْأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ ٱلنَّاسِ وَلِيَعْلَمَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَيَتَّخِذَ مِنكُمْ شُهَدَآءَ ۗ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ ٱلظَّـٰلِمِينَ
এখন যদি তোমাদের আঘাত লেগে থাকে, তাহলে এর আগে এমনি ধরনের আঘাত লেগেছে তোমাদের বিরোধী পক্ষের গায়েও। ১০০ এ–তো কালের উত্থান-পতন, মানুষের মধ্যে আমি এর আবর্তন করে থাকি। এ সময় ও অবস্থাটি তোমাদের ওপর এ জন্য আনা হয়েছে যে, আল্লাহ দেখতে চান তোমাদের মধ্যে সাচ্চা মুমিন কে? আর তিনি তাদেরকে বাছাই করে নিতে চান, যারা যথার্থ (সত্য ও ন্যায়ের) সাক্ষী হবে ১০১ -কেননা জালেমদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন না
১০০
এখানে বদর যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। একথা বলার অর্থ হচ্ছে এই যে, বদর যুদ্ধের আঘাতে যখন কাফেররা হিম্মতহারা হয়নি তখন ওহোদ যুদ্ধের এই আঘাতে তোমরা সাহস হারিয়ে ফেলছো কেন?
১০১
কুরআনের মূল বাক্যটি হচ্ছে, (وَيَتّخِذُ مِنكُم شُهَدَاءِ) এর একটি অর্থ হচ্ছে, তোমাদের থেকে কিছু সংখ্যা শহীদ নিতে চাইছিলেন। অর্থাৎ কিছু লোককে শাহাদাতের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে চাইছিলেন। দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে, বর্তমানে তোমাদের মধ্যে ঈমানদার ও মুনাফিক যে মিশ্রিত দলটি গড়ে উঠেছে তার মধ্য থেকে এমন সব লোকদের ছেঁটে আলাদা করে নিতে চাইছিলেন যারা আসলে شُهَدَاءِ علَى النَّاس(সমগ্র মানব জাতির ওপর সাক্ষী) অর্থাৎ এই মহান পদের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত। কারণ এই মহান ও মর্যাদাপূর্ণ পদেই মুসলিম উম্মাহকে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে।