أَوَلَمَّآ أَصَـٰبَتْكُم مُّصِيبَةٌۭ قَدْ أَصَبْتُم مِّثْلَيْهَا قُلْتُمْ أَنَّىٰ هَـٰذَا ۖ قُلْ هُوَ مِنْ عِندِ أَنفُسِكُمْ ۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍۢ قَدِيرٌۭ
তোমাদের ওপর যখন বিপদ এসে পড়লো তোমরা বলতে লাগলে, এ আবার কোথায় থেকে এলো? ১১৫ তোমাদের এ অবস্থা কেন? অথচ (বদরের যুদ্ধে) এর দ্বিগুণ বিপদ তোমাদের মাধ্যমে তোমাদের বিরোধী পক্ষের ওপর পড়েছিল। ১১৬ হে নবী! ওদের বলে দাও, তোমরা নিজেরাই এ বিপদ এনেছো। ১১৭ আল্লাহ প্রতিটি জিনিসের ওপর শক্তিমান। ১১৮
১১৫
নেতৃস্থানীয় সাহাবীগণ অবশ্যি যথার্থ সত্য অবগত ছিলেন এবং তাঁদের কোনো প্রকার বিভ্রান্তির শিকার হবার সম্ভাবনা ছিল না। তবে সাধারণ মুসলমানরা মনে করছিলেন, আল্লাহর রসূল যখন আমাদের সঙ্গে আছেন এবং আল্লাহ আমাদের সাহায্য ও সহযোগিতা দান করছেন তখন কোন অবস্থাতেই কাফেররা আমাদের ওপর বিজয় লাভ করতে পারে না। তাই ওহোদ পরাজিত হবার পর তারা ভীষণভাবে আশাহত হয়েছেন। তারা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করছেন, এ কি হলো? আমরা আল্লাহর দ্বীনের জন্য লড়তে গিয়েছিলাম। তাঁর প্রতিশ্রুতি ও সাহায্য আমাদের সঙ্গে ছিল। তাঁর রসূল সশরীরে যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত ছিলেন। এরপরও আমরা হেরে গেলাম? এমন লোকদের হাতে হেরে গেলাম, যারা আল্লাহর দ্বীনকে দুনিয়ার বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবার জন্য এসেছিল? মুসলমানদের এই বিস্ময় পেরেশানী ও হতাশা দূর করার জন্য এ আয়াত নাযিল হয়।
১১৬
ওহোদের যুদ্ধে মুসলমানদের সত্তর জন লোক শহীদ হয়। অন্যদিকে ইতিপূর্বে বদরের যুদ্ধে মুসলমানদের হাতে সত্তর জন্য কাফের নিহত এবং সত্তর জন বন্দী হয়েছিল।
১১৭
অর্থাৎ এটা তোমাদের নিজেদের দুর্বলতা ও ভুলের ফসল। তোমরা সবর করোনি। তোমাদের কোন কোন কাজ হয়েছে তাকওয়া বিরোধী। তোমরা নির্দেশ অমান্য করেছো। অর্থ-সম্পদের লোভে আত্মহারা হয়েছো। পরস্পরের মধ্যে বিবাধ ও মতবিরোধ করেছো। এতো সব করার পর আবার জিজ্ঞেস করছো, বিপদ এলো কোথা থেকে?
১১৮
অর্থাৎ আল্লাহ যদি তোমাদের বিজয় দান করার শক্তি রাখেন তাহলে পরাজয় দান করার শক্তিও রাখেন।