فَٱسْتَجَابَ لَهُمْ رَبُّهُمْ أَنِّى لَآ أُضِيعُ عَمَلَ عَـٰمِلٍۢ مِّنكُم مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ ۖ بَعْضُكُم مِّنۢ بَعْضٍۢ ۖ فَٱلَّذِينَ هَاجَرُوا۟ وَأُخْرِجُوا۟ مِن دِيَـٰرِهِمْ وَأُوذُوا۟ فِى سَبِيلِى وَقَـٰتَلُوا۟ وَقُتِلُوا۟ لَأُكَفِّرَنَّ عَنْهُمْ سَيِّـَٔاتِهِمْ وَلَأُدْخِلَنَّهُمْ جَنَّـٰتٍۢ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَـٰرُ ثَوَابًۭا مِّنْ عِندِ ٱللَّهِ ۗ وَٱللَّهُ عِندَهُۥ حُسْنُ ٱلثَّوَابِ
জবাবে তাদের রব বললেনঃ “আমি তোমাদের কারো কর্মকাণ্ড নষ্ট করবো না। পুরুষ হও বা নারী, তোমরা সবাই একই জাতির অন্তর্ভুক্ত। ১৩৯ কাজেই যারা আমার জন্য নিজেদের স্বদেশ ভূমি ত্যাগ করেছে এবং আমার পথে যাদেরকে নিজেদের ঘর বাড়ি থেকে বের করে দেয়া ও কষ্ট দেয়া হয়েছে এবং যারা আমার জন্য লড়েছে ও মারা গেছে, তাদের সমস্ত গোনাহ আমি মাফ করে দেবো এবং তাদেরকে এমন সব বাগানে প্রবেশ করাবো যার নীচে দিয়ে ঝরণাধারা বয়ে চলবে। এসব হচ্ছে আল্লাহর কাছে তাদের প্রতিদান এবং সবচেয়ে ভালো প্রতিদান আল্লাহর কাছেই আছে।” ১৪০
১৩৯
অর্থাৎ তোমরা সবাই মানুষ। আমরা দৃষ্টিতে তোমরা সবাই সমান। আমার এখানে নারী-পুরুষ, চাকর-মনিব, সাদা-কালো ও বড়-ছোটর মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোন ভিন্ন ভিন্ন নীতি এবং তাদের মধ্যে কোন বিষয়ে মীমাংসা করার সময় আলাদা আলাদা মানদণ্ড কায়েম করা হয় না।
১৪০
এক রেওয়ায়াতে বর্ণিত হয়েছে, কোন কোন অমুসলিম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলেঃ মূসা নবী ‘আসা’ (অলৌকিক লাঠি) ও উজ্জ্বল হাত এনেছিলেন। ঈসা নবী অন্ধদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতেন এবং কুষ্ঠরোগীকে নিরাময় করতেন। অন্যান্য নবীরাও কিছু না কিছু মু’জিযা এনেছিলেন। আপনি কি এনেছেন? একথার জবাবে নবী ﷺ এ রুকূ’র শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আয়াতগুলো তেলাওয়াত করেন এবং তাদেরকে বলেন, আমি এগুলো এনেছি।