۞ إِنَّ ٱللَّهَ ٱصْطَفَىٰٓ ءَادَمَ وَنُوحًۭا وَءَالَ إِبْرَٰهِيمَ وَءَالَ عِمْرَٰنَ عَلَى ٱلْعَـٰلَمِينَ
আল্লাহ্ ২৯ আদম, নূহ, ইবরাহীমের বংশধর ও ইমরানের বংশধরদেরকে ৩০ সমগ্র বিশ্ববাসীর ওপর প্রাধান্য দিয়ে (তাঁর রিসালাতের জন্য) মনোনীত করেছিলেন।
২৯
এখান থেকে দ্বিতীয় ভাষণটি শুরু হচ্ছে। নবম হিজরী সনে নাজরানের খৃস্টীয় প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধি দল রসূলুল্লাহ্ ﷺ এর দরবারে হাযির হবার পর এ অংশটি নাযিল হয়েছিল। হিজায ও ইয়ামনের মাঝখানে নাজরান এলাকা অবস্থিত। সে সময় এ এলাকায় ৭২টি জনপদ ছিল। বলা হয়ে থাকে, এই জনপদগুলো থেকে সে সময় এক লাখ বিশ হাজার যুদ্ধ করার যোগ্যতা সম্পন্ন জওয়ান বের হয়ে আসতে পারতো। এলাকার সমগ্র অধিবাসীই ছিল খৃস্টান। তিনজন দলনেতার অধীনে তারা শাসিত হতো। একজনকে বলা হতোঃ আকেব। তিনি ছিলেন জাতীয় প্রধান। দ্বিতীয়জনকে বলা হতো সাইয়েদ। তিনি জাতির তামাদ্দুনিক ও রাজনৈতিক বিষয়গুলো দেখাশুনো করতেন। তৃতীয়জনকে বলা হতোঃ উসকুফ্ (বিশপ)। তিনি ছিলেন ধর্মীয় বিষয়ের ভারপ্রাপ্ত। নবী ﷺ এর মক্কা বিজয়ের পর যখন সমগ্র আরববাসীর মনে এ বিশ্বাস জন্মালো যে, দেশের ভবিষ্যৎ এখন মুহাম্মাদ ﷺ এর হাতে তখন আরবের বিভিন্ন এলাকা থেকে তার কাছে প্রতিনিধি দলের আগমন হতে লাগলো। এই সময় নাজরানের তিনজন দলনেতাও ৬০ জনের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে মদীনায় পৌঁছেন। তারা যুদ্ধ করতে প্রস্তুত ছিল না। তখন প্রশ্ন ছিল, তারা ইসলাম গ্রহণ করবে, না জিম্মী হয়ে থাকবে। এ সময় মহান আল্লাহ নবী ﷺ এর ওপর এ ভাষণটি নাযিল করেন। এর মাধ্যমে নাজরানের প্রতিনিধি দলের সামনে ইসলামের দাওয়াত পেশ করার ব্যবস্থা করা হয়।
৩০
ইমরান ছিল হযরত মূসা ও হারুনের পিতার নাম। বাইবেলে তাঁকে “আমরাম” বলা হয়েছে।