إِذْ قَالَتِ ٱمْرَأَتُ عِمْرَٰنَ رَبِّ إِنِّى نَذَرْتُ لَكَ مَا فِى بَطْنِى مُحَرَّرًۭا فَتَقَبَّلْ مِنِّىٓ ۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ
(তিনি তখন শুনছিলেন) যখন ইমরানের মহিলা ৩২ বলছিলঃ “হে আমার রব! আমার পেটে এই যে সন্তানটি আছে এটি আমি তোমার জন্য নজরানা দিলাম, সে তোমার জন্য উৎসর্গীত হবে। আমার এই নজরানা কবুল করে নাও। তুমি সবকিছু শোনো ও জানো।” ৩৩
৩২
‘ইমরানের মহিলা’ শব্দের অর্থ এখানে যদি ইমরানের স্ত্রী ধরা হয়, তাহলে বুঝতে হবে এখানে সেই ইমরানের কথা বলা হয়নি যার প্রসঙ্গে ইতিপূর্বে উল্লেখিত হয়েছে। বরং ইনি ছিলেন হযরত মারয়ামের (আঃ) পিতা। সম্ভবত এ নাম ছিল ইমরান। আর ‘ইমরানের মহিলা’ শব্দের অর্থ যদি ধরা হয় ইমরান বংশের মহিলা, তাহলে হযরত মারয়ামের (আঃ) মা ইমরান বংশের মেয়ে ছিলেন একথাই বুঝতে হবে। কিন্তু এই দু’টি অর্থের মধ্য থেকে কোন একটিকে চূড়ান্তভাবে অগ্রাধিকার দেবার জন্য কোন তথ্য মাধ্যম আমাদের হাতে নেই। কারণ হযরত মারয়ামের পিতা কে ছিলেন এবং তাঁর মাতা ছিলেন কোনো বংশের মেয়ে-এ বিষয়ে ইতিহাসে কোন উল্লেখ নেই। তবে হযরত ইয়াহ্ইয়ার মাতা ও হযরত মারয়ামের মাতা পরস্পর আত্মীয় ছিলেন, এই বর্ণনাটি যদি সঠিক বলে মেনে নেয়া হয়, তাহলে ইমরান বংশের মেয়ে-ই হবে “ইমরানের মহিলা” শব্দের সঠিক অর্থ। কারণ লুক লিখিত ইঞ্জিলে আমরা সুস্পষ্টভাবে পাই যে, হযরত ইয়াহ্ইয়ার মাতা হযরত হারুনের বংশধর ছিলেন। (লুকঃ ৫)
৩৩
অর্থাৎ তুমি নিজের বান্দাদের প্রার্থনা শুনে থাকো এবং তাদের মনের অবস্থা জানো।