۞ وَمِنْ أَهْلِ ٱلْكِتَـٰبِ مَنْ إِن تَأْمَنْهُ بِقِنطَارٍۢ يُؤَدِّهِۦٓ إِلَيْكَ وَمِنْهُم مَّنْ إِن تَأْمَنْهُ بِدِينَارٍۢ لَّا يُؤَدِّهِۦٓ إِلَيْكَ إِلَّا مَا دُمْتَ عَلَيْهِ قَآئِمًۭا ۗ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا۟ لَيْسَ عَلَيْنَا فِى ٱلْأُمِّيِّـۧنَ سَبِيلٌۭ وَيَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَ وَهُمْ يَعْلَمُونَ
আহলি কিতাবদের মধ্যে কেউ এমন আছে, তার ওপর আস্থাস্থাপন করে যদি তাকে সম্পদের স্তূপ দান করো, তাহলেও সে তোমার সম্পদ তোমাকে ফিরিয়ে দেবে। আবার তাদের কারো অবস্থা এমন যে, যদি তুমি তার ওপর একটি মাত্র দীনারের ব্যাপারেও আস্থাস্থাপন করো, তাহলে সে তা তোমাকে ফিরিয়ে দেবে না, তবে যদি তোমরা তার ওপর চড়াও হয়ে যাও। তাদের এই নৈতিক অবস্থার কারণ হচ্ছে এই যে, তারা বলেঃ “নিরক্ষরদের (অ–ইহুদী) ব্যাপারে আমাদের কোন দায়দায়িত্ব নেই।” ৬৪ আর এটা একটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট কথা তারা আল্লাহর প্রতি আরোপ করছে। অথচ তারা জানে, (আল্লাহ্ এমন কোন কথা বলেননি। )
৬৪
এটা কেবল সাধারণ ইহুদীদের মূর্খতাপ্রসূত ধারণাই ছিল না। বরং এটাই ছিল তাদের ধর্মীয় শিক্ষা। তাদের বড় বড় ধর্মীয় নেতারা এই ধর্মীয় বিধানও দিতো। বাইবেলে ঋণ ও সূদের বিধানের ক্ষেত্রে ইসরাঈলী ও অ-ইসরাঈলীদের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য করা হয়েছে। (দ্বিতীয় বিবরণ ১৫: ৩-২৩: ২০) তালমূদে বলা হয়েছে, যদি কোন ইসরাঈলীর বলদ কোন অ-ইসরাঈলীর বলদকে আহত করে তাহলে এ জন্য কোন জরিমানা দিতে হবে না।কোন ব্যক্তি যদি কোন জিনিস কুড়িয়ে পায় তাহলে তাকে চারপাশের জনবসতির দিকে নজর দিতে হবে। চারপাশে যদি ইসরাঈলীদের বসতি থাকে, তাহলে তাকে জিনিসটির ঘোষণা দিতে হবে। আর যদি অ-ইসরাঈলীদের বসবাস থাকে, তাহলে বিনা ঘোষণায় সে জিনিসটি নিয়ে নিতে পারে। রাব্বী ইসমাঈল বলেনঃ যদি ইসরাঈলী ও অ-ইসরাঈলীর মামলা বিচারপতির আদালতে আসে, তাহলে বিচারপতি ধর্মীয় আইনের আওতায় নিজের ভাইকে জয়ী করতে পারলে তাই করবেন এবং বলবেন, এটা তো আমাদের আইন। আর অ-ইসরাঈলীদের আইনের আওতায় জয়ী করতে পারলে তাই করবেন এবং বলবেন, এটা তো তোমাদের আইন। যদি দু’টি আইনের কোনটার সাহায্যেই ইসরাইলীকে জয়ী করানো সম্ভব না হয়, তাহলে যে কোন বাহানাবাজী ও কৌশল অবলম্বন করে ইসরাঈলীকে জয়ী করা যায়, তা তাকে করতে হবে। রাব্বী শামওয়াঈল বলেনঃ অ-ইসরাঈলীর প্রতিটি ভুলের সুযোগ গ্রহণ করা উচিত। (TALMUDIC MISCELLANY ISSAC HERSHON, London 1880. Page-37, 220, 221)