وَإِنَّ مِنْهُمْ لَفَرِيقًۭا يَلْوُۥنَ أَلْسِنَتَهُم بِٱلْكِتَـٰبِ لِتَحْسَبُوهُ مِنَ ٱلْكِتَـٰبِ وَمَا هُوَ مِنَ ٱلْكِتَـٰبِ وَيَقُولُونَ هُوَ مِنْ عِندِ ٱللَّهِ وَمَا هُوَ مِنْ عِندِ ٱللَّهِ وَيَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَ وَهُمْ يَعْلَمُونَ
তাদের মধ্যে কিছু লোক আছে, তারা কিতাব পড়ার সময় এমনভাবে জিভ ওলট পালট করে যে, তোমরা মনে করতে থাকো, তারা কিতাবেরই ইবারত পড়ছে, অথচ তা কিতাবের ইবারত নয়। ৬৬ তারা বলে, যা কিছু আমরা পড়ছি, তা আল্লাহর কাছ থেকেই পাওয়া অথচ তা আল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া নয়, তারা জেনে বুঝে আল্লাহর ওপর মিথ্যা আরোপ করে।
৬৬
এর অর্থ যদিও এটাও হতে পারে যে, তারা আল্লাহর কিতাবের অর্থ বিকৃত করে অথবা শব্দ ওলট পালট করে তার অর্থ সম্পূর্ণ উল্টে দেয় তবুও এর আসল অর্থ হচ্ছে, তারা আল্লাহর কিতাব পড়ার সময় তাদের স্বার্থ বা মনগড়া আকীদা-বিশ্বাস ও মতবাদ বিরোধী কোন বিশেষ শব্দকে জিভের নাড়াচাড়ার মাধ্যমে এমনভাবে উচ্চারণ করে যার ফলে তার চেহারা বদল হয়ে যায়। কুরআনের স্বীকৃতি দানকারী আহ্লী কিতাবদের মধ্যেও এর নজীরের অভাব নেই। যেমন নবীর মানব সম্প্রদায়ভুক্ত হবার বিষয়টি যারা অস্বীকার করে তারা কুরআনের إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ(অবশ্যি আমি তোমাদের মতোই একজন মানুষ) আয়াতটি পড়ার সময় ‘ইন্নামা’ শব্দটিকে ভেঙে “ইনা” “মা”দুই শব্দ করে পড়ে। এর অর্থ হয়ঃ “হে নবী! তুমি বলে দাও, অবশ্যি আমি মানুষ নই তোমাদের মতো।”