وَلَقَدْ صَدَّقَ عَلَيْهِمْ إِبْلِيسُ ظَنَّهُۥ فَٱتَّبَعُوهُ إِلَّا فَرِيقًۭا مِّنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ
তাদের ব্যাপারে ইবলিস তার ধারণা সঠিক পেয়েছে এবং একটি ক্ষুদ্র মু’মিন দল ছাড়া বাকি সবাই তারই অনুসরণ করছে। ৩৫
৩৫
ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রাচীনকাল থেকে সাবা জাতির মধ্যে এমন একটি দল ছিল যারা অন্য উপাস্যদেরকে মেনে চলার পরিবর্তে এক আল্লাহকে মেনে চলতো। বর্তমান যুগের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার মাধ্যমে ইয়ামনের প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ থেকে যেসব শিলালিপি উদ্ধার করা হয় তার মধ্য থেকে কোন কোনটি এই স্বল্প সংখ্যক দলের অস্তিত্ব চিহ্নিত করে। খৃঃ পূঃ ৬৫০ অব্দের কাছাকাছি সময়ের কোন কোন শিলালিপি একথা বলে যে, সাবা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এমন কিছু ইবাদাত গৃহ স্থাপিত ছিল যেগুলো আসমানি বা আসমান ওয়ালার (অর্থাৎ আসমানের রব) ইবাদাতের জন্য নির্দিষ্ট ছিল। কোন কোন স্থানে এ উপাস্যের নাম ملكن ذوسموى (আকাশসমুহের মালিক বাদশাহ) লেখা হয়েছে। এ দলের লোকেরা এক নাগাড়ে শত শত বছর ইয়ামনে বাস করে থাকে। কাজেই ৩৭৮ খৃস্টাব্দে একটি শিলালিপিতে
اله ذوسموى (আকাশসমূহের ইলাহ) নামে একটি ইবাদাত গৃহ নির্মাণের উল্লেখ দেখা যায়। তারপর ৪৬৫ খৃস্টাব্দের একটি শিলালিপিতে এ শব্দগুলো পাওয়া যায়ঃ
بنصر وردا الهن بعل سمعين وارضين (অর্থাৎ এমন খোদার মদদ ও সাহায্য সহকারে যিনি আকাশ সমূহ ও পৃথিবীর মালিক) একই সময়ের ৪৫৮ খৃস্টাব্দের আর একটি শিলালিপিতে এই খোদার জন্য “রহমান” শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। মুল শব্দ হচ্ছে
بردا رحمنن (অর্থাৎ রহমানের সাহায্যে)।