يَسْـَٔلُكَ أَهْلُ ٱلْكِتَـٰبِ أَن تُنَزِّلَ عَلَيْهِمْ كِتَـٰبًۭا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ ۚ فَقَدْ سَأَلُوا۟ مُوسَىٰٓ أَكْبَرَ مِن ذَٰلِكَ فَقَالُوٓا۟ أَرِنَا ٱللَّهَ جَهْرَةًۭ فَأَخَذَتْهُمُ ٱلصَّـٰعِقَةُ بِظُلْمِهِمْ ۚ ثُمَّ ٱتَّخَذُوا۟ ٱلْعِجْلَ مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَتْهُمُ ٱلْبَيِّنَـٰتُ فَعَفَوْنَا عَن ذَٰلِكَ ۚ وَءَاتَيْنَا مُوسَىٰ سُلْطَـٰنًۭا مُّبِينًۭا
এই আহ্লি কিতাবরা যদি আজ তোমার কাছে আকাশ থেকে তাদের জন্য কোন লিখন অবতীর্ণ করার দাবী করে থাকে, ১৮১ তাহলে ইতিপূর্বে তারা এর চাইতেও বড় ধৃষ্ঠতাপূর্ণ দাবী মূসার কাছে করেছিল। তারা তো তাঁকে বলেছিল, আল্লাহকে প্রকাশ্যে আমাদের দেখিয়ে দাও। তাদের এই সীমালংঘনের কারণে অকস্মাৎ তাদের ওপর বিদ্যুত আপতিত হয়েছিল। ১৮২ তারপর সুস্পষ্ট নিশানীসমূহ দেখার পরও তারা বাছুরকে উপাস্য রূপে গ্রহণ করেছিল। ১৮৩ এরপরও আমি তাদেরকে ক্ষমা করেছি। আমি মূসাকে সুস্পষ্ট ফরমান দিয়েছি।
১৮১
মদীনার ইহুদীরা নবী সাল্লাল্লাহু আল্লাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে অদ্ভুত রকমের দাবী দাওয়া পেশ করতো। তাদের এই দাবীগুলোর মধ্যে একটি ছিলঃ যতক্ষণ আমাদের চোখের সামনে একটি লিখিত কিতাব আকাশ থেকে নাযিল না হয় অথবা আমাদের প্রত্যেকর নামে ওপর থেকে এই মর্মে একটি লিখন না আসে যে, “মুহাম্মাদ আমার রসূল, তাঁর ওপর তোমরা ঈমান আনো” ততক্ষণ আমরা আপনার রিসালাত মেনে নিতে প্রস্তুত নই।
১৮২
এখানে কোন ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ পেশ করা উদ্দেশ্য নয় বরং উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইহুদীদের অপরাধের একটি সংক্ষিপ্ত ফিরিস্তি পেশ করা, তাই তাদের জাতীয় ইতিহাসের কতিপয় সুস্পষ্ট ঘটনার দিকে হালকাভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এ আয়াতে যে ঘটনার উল্লখ করা হয়েছে তা ইতিপূর্বে সূরা বাকারার ৫৫ নং আয়াতে আলোচিত হয়েছে। (সূরা বাকারা ৭১ নম্বর টীকা দেখুন)।
১৮৩
‘সুস্পষ্ট নিশানীসমূহ’ বলতে হযরত মূসা আলাইহিস সাল্লামের নবুওয়াত প্রাপ্তির পর থেকে নিয়ে ফেরাউনের সাগরে নিমজ্জিত হওয়া ও বনী ইসরাঈলদের মিসর ছেড়ে বের হয়ে আসা পর্যন্ত একের পর এক যেসব নিশানী তারা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছে সেগুলো বুঝানো হয়েছে। বলা বাহুল্য কোন গো-বৎস মিসর সাম্রাজ্যের বিপুল শক্তিশালী নখর থেকে বনী ইসরাঈলকে রক্ষা করেনি বরং তাদের রক্ষা করেছিলেন আল্লাহ রব্বুল আল্লামীন নিজেই। কিন্তু বনী ইসরাঈল জাতির বাতিল প্রীতি এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যার ফলে আল্লাহর কুদরাত ও তাঁর অনুগ্রহের সুস্পষ্ট নিশানীসমূহ বাস্তব অভিজ্ঞতা ও প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জেনে নেবার পরও তারা নিজেদের প্রতি অনুগ্রহশীল আল্লাহর সামনে শির নত না করে একটি কৃত্রিম হাতে গড়া গো-বৎসের মূর্তির সামনে মাথা নত করে।