لَّـٰكِنِ ٱلرَّٰسِخُونَ فِى ٱلْعِلْمِ مِنْهُمْ وَٱلْمُؤْمِنُونَ يُؤْمِنُونَ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ ۚ وَٱلْمُقِيمِينَ ٱلصَّلَوٰةَ ۚ وَٱلْمُؤْتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱلْمُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْـَٔاخِرِ أُو۟لَـٰٓئِكَ سَنُؤْتِيهِمْ أَجْرًا عَظِيمًا
কিন্তু তাদের মধ্য থেকে যারা পাকাপোক্ত জ্ঞানের অধিকারী ও ঈমানদার তারা সবাই সেই শিক্ষার প্রতি ঈমান আনে, যা তোমার প্রতি নাযিল হয়েছে এবং যা তোমার পূর্বে নাযিল করা হয়েছিল। ২০৩ এ ধরনের ঈমানদার নিয়মিতভাবে নামায কায়েমকারী, যাকাত আদায়কারী এবং আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী লোকদেরকে আমি অবশ্যি মহাপুরস্কার দান করবো।
২০৩
অর্থাৎ তাদের মধ্য থেকে যেসব লোক আসমানী কিতাবসমূহের যথার্থ শিক্ষা অবগত হয়েছে এবং সব ধরনের হিংসা বিদ্বেষ, জাহেলী জিদ-হঠধর্মিতা, বংশানুক্রমিক অন্ধ অনুসৃতি ও স্বার্থপূজা থেকে মুক্ত হয়ে আসমানী কিতাবসমূহ থেকে যে নিখাদ সত্যের প্রমাণ পাওয়া যায় তাকে সাচ্চা দিলে আন্তরিকতা সহকারে মেনে নেয়, তাদের ভূমিকা হয় কাফের ও জালেম ইহুদীদের সাধারণ ভূমিকা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নতর। তারা এক নজরে অনুভব করে, পূর্ববর্তী নবীগণ যে দ্বীনের শিক্ষা দিয়েছিলেন কুরআন তারই শিক্ষা দিচ্ছে। তাই তারা নিরপেক্ষ সত্যপ্রীতি সহকারে উভয়টির ওপর ঈমান আনে।