إِنَّ ٱلَّذِينَ تَوَفَّىٰهُمُ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ ظَالِمِىٓ أَنفُسِهِمْ قَالُوا۟ فِيمَ كُنتُمْ ۖ قَالُوا۟ كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ فِى ٱلْأَرْضِ ۚ قَالُوٓا۟ أَلَمْ تَكُنْ أَرْضُ ٱللَّهِ وَٰسِعَةًۭ فَتُهَاجِرُوا۟ فِيهَا ۚ فَأُو۟لَـٰٓئِكَ مَأْوَىٰهُمْ جَهَنَّمُ ۖ وَسَآءَتْ مَصِيرًا
যারা নিজেদের ওপর জুলুম করছিল ১২৯ ফেরেশতারা তাদের জান কবজ করার সময় জিজ্ঞেস করলোঃ তোমরা কি অবস্থায় ছিলে? তারা জবাব দিল, আমরা পৃথিবীতে ছিলাম দুর্বল ও অক্ষম। ফেরেশতারা বললোঃ আল্লাহর যমীন কি প্রশস্ত ছিল না? তোমরা কি সেখানে হিজরত করে অন্যস্থানে যেতে পারতে না? ১৩০ জাহান্নাম এসব লোকের আবাস স্থিরীকৃত হয়েছে এবং আবাস হিসেবে তা বড়ই খারাপ জায়গা।
১২৯
এখানে এমন লোকদের কথা বলা হয়েছে যারা ইসলাম গ্রহণ করার পরও কোন প্রকার বাধ্যবাধকতা ও অক্ষমতা ছাড়াই এখনো পর্যন্ত নিজেদের কাফের গোত্রের সাথে অবস্থান করছিল। তারা আধা মুসলমানের ও আধা কাফেরের জীবন যাপন করেই সন্তুষ্টি ছিল। অথচ ইতিমধ্যে একটি দারুল ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল। সেখানে হিজরত করে নিজেদের দ্বীন ও আকীদা-বিশ্বাস অনুযায়ী ইসলামী জীবন যাপন করা তাদের পক্ষে সম্ভবপর হয়ে উঠেছিল। এটিই ছিল নিজেদের ওপর তাদের জুলুম। কেননা পূর্ণাংগ ইসলামী জীবন যাপনের মোকাবিলায় এই আধা কুফরী ও আধা ইসলামী জীবনে যে জিনিসটি তাদেরকে সন্তুষ্টি ও নিশ্চিন্ত করে তুলেছিল সেটি যথার্থই কোন অক্ষমতা ছিল না। বরং সেটি ছিল নিছক আত্মবিলাসিতা এবং নিজেদের পরিবার, সহায়-সম্পত্তি, অর্থ-সম্পদ ও পার্থিব স্বার্থপ্রীতি। নিজেদের দ্বীনের ওপর তারা এগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল। (অধিক ব্যাখ্যার জন্য ১১৬ টীকা দেখুন)
১৩০
অর্থাৎ যদি কোন স্থানে আল্লাহদ্রোহীদের প্রতিপত্তি থেকে থাকে এবং সেখানে আল্লাহ প্রদত্ত শরীয়াতের বিধান কার্যকর করা সম্ভবপর না হয়ে থাকে, তাহলে সেখানে অবস্থান করতেই হবে এমন কি বাধ্যবাধকতা ছিল? সেই স্থান ত্যাগ করে তারা এমন কোন ভূখণ্ডে স্থানান্তরিত হলো না কেন যেখানে গিয়ে আল্লাহ প্রদত্ত আইন মেনে চলা সম্ভবপর হতো?