فَاطِرُ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ ۚ جَعَلَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَٰجًۭا وَمِنَ ٱلْأَنْعَـٰمِ أَزْوَٰجًۭا ۖ يَذْرَؤُكُمْ فِيهِ ۚ لَيْسَ كَمِثْلِهِۦ شَىْءٌۭ ۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْبَصِيرُ
আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, যিনি তোমাদের আপন প্রজাতি থেকে তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন, অনুরূপ অন্যান্য জীবজন্তুরও (তাদের নিজ প্রজাতি থেকে) জোড়া বানিয়েছেন এবং এই নিয়মে তিনি তোমাদের প্রজন্মের বিস্তার ঘটান। বিশ্ব-জাহানের কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়। ১৭ তিনি সব কিছু শোনেন ও দেখেন। ১৮
১৭
মূল আয়াতে ব্যবহৃত হয়েছে لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ “কোন জিনিসই তাঁর মত জিনিসের অনুরূপও নয়।” তাফসীরকার ও ভাষাবিদদের কেউ বলেনঃ এ বাক্যাংশে
مثل শব্দটির কাফ বর্ণটি (সামঞ্জস্যের অর্থ প্রকাশক হরফ) সংযোজন বাগধারা হিসেবে করা হয়েছে। বক্তব্যকে জোরালো করাই এর উদ্দেশ্য হয়ে থাকে এবং আরবে এ ধরনের বর্ণনাভঙ্গি প্রচলিত। যেমনঃ কবি বলেনঃ
وقتلى كمثل جذوع النخل
অন্য আরেকজন কবি বলেছেনঃ
ما ان كمسلهم فى الناس من احد
অপর কিছু সংখ্যক লোকের মত হলোঃ “তাঁর মত কেউ নেই” বলার চেয়ে তাঁর মত জিনিসের অনুরূপও কেউ নেই বলার মধ্যে অতিশয়তার অর্থ আছে। অর্থাৎ আল্লাহর মত তো দূরের কথা। অসম্ভব হলেও যদি আল্লাহর সদৃশ কোন বস্তু আছে বলে ধরে নেয়া যায়, তাহলে সেই সদৃশের অনুরূপ কোন জিনিসও থাকতো না।
১৮
অর্থাৎ একই সাথে গোটা বিশ্ব-জাহানের সবারই কথা শুনছেন এবং সব কিছুই দেখছেন।