وَلِلَّهِ مَا فِى ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ لِيَجْزِىَ ٱلَّذِينَ أَسَـٰٓـُٔوا۟ بِمَا عَمِلُوا۟ وَيَجْزِىَ ٱلَّذِينَ أَحْسَنُوا۟ بِٱلْحُسْنَى
যমীন ও আসমানের প্রতিটি জিনিসের মালিক একমাত্র আল্লাহ ২৮ -যাতে ২৯ আল্লাহ্ অন্যায়কারীদেরকে তাদের কাজের প্রতিদান দেন এবং যারা ভাল নীতি ও আচরণ গ্রহণ করেছে তাদের উত্তম প্রতিদান দিয়ে পুরস্কৃত করেন।
২৮
অন্য কথায় কোন মানুষের পথভ্রষ্ট বা সুপথপ্রাপ্ত হওয়ার ফয়সালা যেমন এ পৃথিবীতে হবে না তেমনি এর ফয়সালা দুনিয়ার মানুষের মতামতের ওপর ছেড়ে দেয়াও হয়নি। এর ফয়সালা একমাত্র আল্লাহর হাতে। তিনিই যমীন ও আসমানের মালিক এবং দুনিয়ার মানুষ ভিন্ন ভিন্ন যেসব পথে চলেছে তার কোন্টি হিদায়াতের পথ এবং কোন্টি গোমরাহীর পথ তা কেবল তিনিই জানেন। অতএব আরবের এসব মুশরিক এবং মক্কার কাফেররা যে তোমাকে বিপথগামী ও পথভ্রষ্ট বলে আখ্যায়িত করছে আর নিজেদের জাহেলিয়াতকে হিদায়াত বলে মনে করছে সেজন্য তুমি মোটেই পরোয়া করবে না। এরা যদি নিজেদের এ ভ্রান্ত ধারণা মধ্যে ডুবে থাকতে চায় তাহলে তাদের ডুবে থাকতে দাও। তাদের সাথে তর্ক-বিতর্ক করে সময় নষ্ট করা এবং মাথা ঘামানোর কোন প্রয়োজন নেই।
২৯
আগে থেকেই যে বক্তব্য চলছিলো এখান থেকে পুনরায় তার ধারাবাহিকতা শুরু হচ্ছে। সুতরাং মাঝখানে পূর্বাপর প্রসঙ্গহীন কথাটা বাদ দিলে বাক্যের অর্থ দাঁড়ায় এরূপঃ “তাকে তার আপন অবস্থায় চলতে দাও। যাতে আল্লাহ অন্যায়কারীকে তার কাজের প্রতিফল দান করেন।”