وَحَآجَّهُۥ قَوْمُهُۥ ۚ قَالَ أَتُحَـٰٓجُّوٓنِّى فِى ٱللَّهِ وَقَدْ هَدَىٰنِ ۚ وَلَآ أَخَافُ مَا تُشْرِكُونَ بِهِۦٓ إِلَّآ أَن يَشَآءَ رَبِّى شَيْـًۭٔا ۗ وَسِعَ رَبِّى كُلَّ شَىْءٍ عِلْمًا ۗ أَفَلَا تَتَذَكَّرُونَ
তাঁর সম্প্রদায় তাঁর সাথে বিতর্কে লিপ্ত হলো। তাতে সে তাঁর সম্প্রদায়কে বললোঃ তোমরা কি আল্লাহর ব্যাপারে আমার সাথে বিতর্ক করছো? অথচ তিনি আমাকে সত্য-সরল পথ দেখিয়ে দিয়েছেন এবং তোমরা যাদেরকে তাঁর সাথে শরীক করছো তাদেরকে আমি ভয় করি না, তবে আমার রব যদি কিছু চান তাহলে অবশ্যি তা হতে পারে। আমার রবের জ্ঞান সকল জিনিসের ওপর পরিব্যাপ্ত। এরপরও কি তোমাদের চেতনার উদয় হবে না? ৫৪
৫৪
কুরআনের মূল আয়াতে ‘তাযাক্কুর’ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। এর সঠিক অর্থ হচ্ছে, যে ব্যক্তি গাফলতি ও ভুলের মধ্যে ডুবে ছিল তার হঠাৎ গাফলতি থেকে জেগে ওঠে যে জিনিস থেকে গাফেল হয়ে ছিল তার স্মরণ করা। তাই আমি أَفَلَا تَتَذَكَّرُونَএর অনুবাদ করেছিঃ “এরপরও কি তোমাদের চেতনার উদয় হবে না” হযরত ইবরাহীমের বক্তব্যের অর্থ হচ্ছে, তোমরা যা কিছু করছো তোমাদের আসল ও যথার্থ রব সে সম্পর্কে মোটেই অনবহিত নন। তিনি সব জিনিসের বিস্তারিত জ্ঞান রাখেন। কাজেই এ সত্য অবগত হয়েও কি তোমরা সচেতন হবে না?