ٱلَّذِى خَلَقَ سَبْعَ سَمَـٰوَٰتٍۢ طِبَاقًۭا ۖ مَّا تَرَىٰ فِى خَلْقِ ٱلرَّحْمَـٰنِ مِن تَفَـٰوُتٍۢ ۖ فَٱرْجِعِ ٱلْبَصَرَ هَلْ تَرَىٰ مِن فُطُورٍۢ
তিনিই স্তরে স্তরে সাজিয়ে সাতটি আসমান তৈরী করেছেন। ৬ তুমি রহমানের সৃষ্টকর্মে কোন প্রকার অসঙ্গতি দেখতে পাবে না। ৭ আবার চোখ ফিরিয়ে দেখ, কোন ত্রুটি ৮ দেখতে পাচ্ছ কি?
৬
ব্যাখ্যার জন্য দেখুন তাফহীমুল কোরআন, আল বাকারা, টিকা ৩৪; আর রা’দ টীকা ২; আল হিজর টীকা ৮; আল হজ্জ, টীকা ১১৩; আল মু’মিনূন, টীকা ১৫; আস সাফফাত, টীকা ৫ এবং আল মু’মিন, টীকা ৯০।
৭
মূল আয়াতে تَفَاوُتٍ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে যার অর্থ হলো সামঞ্জস্যহীনতা। এক বস্তুর সাথে আরেকটি বস্তুর মিল না হওয়া, অমিল হওয়া বা খাপ না খাওয়া। সুতরাং এ কথাটির অর্থ হলো, গোটা বিশ্ব-জাহানের কোথাও তোমরা বিশৃংখলা, অবিন্যস্ততা ও অসঙ্গতি দেখতে পাবে না। আল্লাহর সৃষ্ট এ পৃথিবীতে কোন জিনিসই সামঞ্জস্যহীন ও খাপছাড়া নয়। এর প্রত্যেকটি অংশ পরস্পর বাঁধা এবং সেগুলোর মধ্যে পুরো মাত্রায় সামঞ্জস্য বিদ্যমান।
৮
মূল ব্যবহৃত শব্দটি হলো فطور এর অর্থ ফাটল, ছিদ্র, চিড়, ছেঁড়া, ভাঙাচোরা। অর্থাৎ সমগ্র বিশ্ব-জাহানের বাঁধন এতো মজবুত এবং পৃথিবীর একটি অণু থেকে বিশালকায় নীহারিকা মণ্ডলী পর্যন্ত প্রতিটি বস্তু এমন সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ যে, বিশ্ব-জাহানের কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা দেখা যাবে না। (বেশী ব্যাখ্যার জন্য দেখুন তাফহীমুল কোরআন, সূরা ক্বাফ, টীকা ৮)।