لَا يَزَالُ بُنْيَـٰنُهُمُ ٱلَّذِى بَنَوْا۟ رِيبَةًۭ فِى قُلُوبِهِمْ إِلَّآ أَن تَقَطَّعَ قُلُوبُهُمْ ۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
তারা এই যে ইমারত নির্মাণ করেছে এটা সবসময় তাদের মনে সন্দেহের কারণ হয়ে থাকবে (যার বের হয়ে যাওয়ার আর কোন উপায়ই এখন নেই) যে পর্যন্ত না তাদের অন্তর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ১০৫ আল্লাহ অত্যন্তসচেতন, জ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ।
১০৫
অর্থাৎ তারা মুনাফিক সুলভ ধোঁকা ও প্রতারণার বিরাট অপরাধ করে নিজেদের অন্তরকে চিরকালের জন্য ঈমানী যোগ্যতা থেকে বঞ্চিত করেছে। বেঈমানী ও নাফরমানীর রোগ তাদের অন্তরের অন্তঃস্থলে অনুপ্রবেশ করেছে। যতদিন তাদের এ অন্তর থাকবে ততদিন এ রোগ ও সেখানে অবস্থান করবে। আল্লাহর হুকুম অমান্য করার জন্য যে ব্যক্তি প্রকাশ্যে মন্দির নির্মাণ করে অথবা তার দ্বীনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ব্যারিকেড ও ঘাটি তৈরী করে তার হেদায়াত ও কোন না কোন সময় সম্ভব। কারণ তার মধ্যে স্পষ্টবাদিতা, আন্তরিকতা ও নৈতিক সাহসের সূক্ষ্মতার উপাদান মৌলীক ভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। আর এ উপাদান সত্য ও ন্যায়ের পক্ষাবলম্বন করার জন্য ঠিক তেমনিভাবে কাজে লেগে যেমন মিথ্যা ও অন্যায়ের পক্ষাবলম্বন করার জন্য কাজে লাগে। কিন্তু যে কাপুরুষ, মিথ্যুক ও প্রতারক আল্লাহর নাফরমাণী ও হুকুম অমান্য করার জন্য মসজিদে নির্মাণ করে এবং আল্লাহর দ্বীনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আল্লাহর প্রশস্তির প্রতারণামূলক পেষাক পরিধান করে, মুনাফিকীর ঘুণে তার চরিত্র কুরে কুরে খেয়ে ফেলেছে। আন্তরিকতার সাথে ঈমানের বোঝা বহন করার ক্ষমতা সে কোথা থেকে পাবে?