قَالَ رَبِّ ٱجْعَل لِّىٓ ءَايَةًۭ ۖ قَالَ ءَايَتُكَ أَلَّا تُكَلِّمَ ٱلنَّاسَ ثَلَـٰثَةَ أَيَّامٍ إِلَّا رَمْزًۭا ۗ وَٱذْكُر رَّبَّكَ كَثِيرًۭا وَسَبِّحْ بِٱلْعَشِىِّ وَٱلْإِبْكَـٰرِ
আরজ করলোঃ “হে প্রভু! তাহলে আমার জন্য কোন নিশানী ঠিক করে দাও।” ৪১ জবাব দিলেনঃ “নিশানী হচ্ছে এই যে, তুমি তিন দিন পর্যন্ত মানুষের সাথে ইশারা-ইঙ্গিত ছাড়া কোন কথা বলবে না। এই সময়ে নিজের রবকে খুব বেশী করে ডাকো এবং সকাল সাঁঝে তাঁর ‘তাস্বীহ’ করতে থাকো।” ৪২
৪১
অর্থাৎ এমন নিশানী বলে দাও, যার ফলে একজন জরাজীর্ণ বৃদ্ধ ও বন্ধ্যা বৃদ্ধার ঘরে পুত্র সন্তান জন্ম নেবার মতো বিস্ময়কর ও অস্বাভাবিক ঘটনাটি ঘটার খবরটি আগাম জানতে পারি।
৪২
খৃস্টানরা হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে ‘আল্লাহর পুত্র’ ও ‘খোদা’ বলে বিশ্বাস করে যে ভুল করে চলেছে, সেই বিশ্বাস ও আকীদাগত ভুলটি সুস্পষ্ট করে তুলে ধরাই এই ভাষণটির মূল্য উদ্দেশ্য। সূচনায় হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালামের কথা বলার কারণ হচ্ছে এই যে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের জন্ম যেমন অলৌকিক পদ্ধতিতে হয়েছিল, ঠিক তেমনি তার থেকে মাত্র ছয় মাস আগে একই পরিবারে আর একটি অলৌকিক পদ্ধতিতে হযরত ইয়াহ্ইয়ার জন্ম হয়েছিল। এর মাধ্যমে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ খৃস্টানদের একথা বুঝাতে চাচ্ছেন যে, ইয়াহ্ইয়ার অলৌকিক জন্ম যদি তাকে খোদা ও উপাস্য তে পরিণত না করে থাকে তাহলে ঈসার নিছক অস্বাভাবিক জন্ম পদ্ধতি কিভাবে তাকে ‘ইলাহ’ ও ‘খোদা’র আসনে বসিয়ে দিতে পারে?