وَمِنَ ٱلْإِبِلِ ٱثْنَيْنِ وَمِنَ ٱلْبَقَرِ ٱثْنَيْنِ ۗ قُلْ ءَآلذَّكَرَيْنِ حَرَّمَ أَمِ ٱلْأُنثَيَيْنِ أَمَّا ٱشْتَمَلَتْ عَلَيْهِ أَرْحَامُ ٱلْأُنثَيَيْنِ ۖ أَمْ كُنتُمْ شُهَدَآءَ إِذْ وَصَّىٰكُمُ ٱللَّهُ بِهَـٰذَا ۚ فَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ ٱفْتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًۭا لِّيُضِلَّ ٱلنَّاسَ بِغَيْرِ عِلْمٍ ۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلظَّـٰلِمِينَ
আর এভাবে দু’টি উট শ্রেণীর ও দু’টি গাভী শ্রেণীর মধ্য থেকে। জিজ্ঞেস করো, আল্লাহ এদের নর দু’টি হারাম করেছেন, না মাদী দু’টি, না সেই বাচ্চা যা উটনী ও গাভীর পেটে রয়েছে? ১২০ তোমরা কি তখন উপস্থিত ছিলে যখন আল্লাহ তোমাদেরকে এদের হারাম হুকুম দিয়েছিলেন? কাজেই তার চেয়ে বড় জালেম আর কে হবে যে আল্লাহর নামে মিথ্যা কথা বলে? তার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সঠিক জ্ঞান ছাড়াই মানুষকে ভ্রান্ত পথে পরিচালিত করা। নিঃসন্দেহে আল্লাহ এহেন জালেমদের সত্য-সঠিক পথ দেখান না।
১২০
তাদের নিজেদের ধারণা, অনুমান ও কুসংস্কার যাতে তাদের নিজেদের সামনে সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে সে উদ্দেশ্যেই এ প্রশ্নগুলো এমন বিস্তারিতভাবে তাদের কাছে পেশ করা হয়েছে। একই শ্রেণীর পশুর নর হালাল ও মাদী হারাম অথবা মাদী হালাল ও নর হারাম বা পশুটি হালাল কিন্তু তার গর্ভস্থিত বাচ্চাটি হারাম--এগুলো এমন সুস্পষ্ট অযৌক্তিক কথা যে, কোন সুস্থ বিবেক একথা মেনে নিতে অস্বীকার করবে। আল্লাহ কখনো এ ধরনের অর্থহীন বাজে হুকুম দিতে পারেন তা কোন বুদ্ধিমান মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। তাছাড়া কুরআন যে পদ্ধতিতে আরববাসীদেরকে তাদের এ সমস্ত ধারণা কল্পনা ও কুসংস্কারের অযৌক্তিকতা বুঝাবার চেষ্টা করেছে ঠিক সে একই পদ্ধতিতে দুনিয়ার যেসব জাতির মধ্যে পানাহার দ্রব্য সামগ্রীর ক্ষেত্রে হারাম-হালালের অযৌক্তিক বিধি-নিষেধ এবং অস্পৃশ্যতাবোধ ও ছোঁয়া-ছুঁয়ির নিয়ম প্রচলিত রয়েছে, তাদের সেই সমস্ত কুসংস্কার ও ধারণা ও কল্পনার অযৌক্তিকতা সম্পর্কেও তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া যেতে পারে।